প্রকাশ সিন্হা এবং রাজর্ষি দত্তগুপ্ত, কলকাতা: সারদাকাণ্ডে (Sarada Scam) সিআইডি-র (CID) বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে সিবিআইকে চিঠি দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের (Debjani Mukherjee) মা শর্বরী মুখোপাধ্যায়ের। সিআইডি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে সেই চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, ‘মেয়েকে মানসিক চাপ দিচ্ছে সিআইডি।’ ‘শুভেন্দু অধিকারী ও সুজন চক্রবর্তীর নামে অভিযোগ করার জন্য চাপ’ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। 'দেবযানীকে চাপ দিয়েছে সিআইডি', বিস্ফোরক অভিযোগ দেবযানীর মায়ের। মূলত জেল বন্দি দেবযানী এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর মাকে। 


 সারদাকাণ্ডে  সিআইডি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে সিবিআইকে চিঠি দেবযানীর মায়ের 


সিআইডি-র বিরুদ্ধে চিঠিতে অভিযোগ জানিয়ে দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা শর্বরী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘সারদার থেকে টাকা নিয়েছেন শুভেন্দু ও সুজন। সারদার থেকে দুজনেই নিয়েছেন ৬ কোটি টাকা করে। তাঁর সামনেই টাকা দেওয়া হয়েছে বলে বয়ান দিতে দেবযানীকে চাপ। অভিযোগ না করলে আরও ৯টি মামলায় ফাঁসানো হবে' বলে চাপ। ২৩ অগাস্ট দমদম জেলে গিয়ে চাপ দেওয়ার অভিযোগ সিআইডির বিরুদ্ধে। সিবিআইকে দেওয়া দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মায়ের চিঠিতে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে এখনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সিআইডির।


আরও পড়ুন, বারবার সিম বদল, লোকেশন অধরা মূল অভিযুক্তর, বাগুইআটিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য


সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা


প্রসঙ্গত, বাংলায় চলা সবকটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও, আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে আপাতত থাকতে হচ্ছে সারদার এক সময়ের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডকে। কারণ, সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডে দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। বাড়ি ফিরতে হলে দেবযানীকে ওই সব মামলাতেও জামিন পেতে হবে। ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে ধরা পড়েন সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়।সেই থেকে তাঁরা জেলে আছেন। সারদাকাণ্ডে সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে রাজ্যের বহু থানায় অভিযোগ হয়। বেশ কিছু মামলা থেকে সারদাকর্তা জামিন পেলেও, এখনও চলছে বেশ কিছু মামলা। সারদা গ্রুপ অফ কোম্পানিজের উচ্চ পদস্থ কর্মচারী ছিলেন দেবযানী। তিনি বর্তমানে আলিপুর সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি। সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারির জাল পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য়ে ছড়িয়েছিল। সিবিআই ২০১৩ থেকে এই মামলার তদন্ত করছে। এখনও পর্যন্ত ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। লগ্নিতে বেশি অর্থ ফেরতের প্রলোভন দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে সারদা কোম্পানির বিরুদ্ধে।