কলকাতা: 'গরিব মানুষের টাকা লুঠ করেছেন, আগে ফেরত দিন', অভিষেককে (Abhishek Banerjee) খোঁচা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)।  এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন,  'সব হয়ে যাওয়ার পরে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া, এটা পুরনো অভ্যাস। কিন্তু গরীব মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা লুঠ করেছেন গরীব মানুষের, সেটার কী হবে ? যারা সর্বশান্ত হয়েছেন, জমি বিক্রি করে ছেলের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছেন, যাদের কাছ থেকে শৌচালয়ের জন্য টাকা নিয়ে নিয়েছেন, আবাস যোজনার জন্য ২০-২৫ হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছেন, সেই টাকাটা ফেরত দিন। এবং যারা চাকরির জন্য  টাকা দিয়ে চাকরি পায়নি, এমনও আঠেরো -বিশ হাজার লোক আছেন, তাঁদের টাকাও ফেরত দিন।  তা না হলে ক্ষমা কী করে হবে ! টাকা দিয়ে দিন, তাহলে মানুষ ভাববে !'


প্রসঙ্গত, 'ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন, কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেবেন না', নদিয়ার (nadia) সভা (meeting) থেকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে আর্জি তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (abhishek banerjee)। সঙ্গে প্রশ্ন, 'তৃণমূলের থেকে রানাঘাট (ranaghat) মুখ ফিরিয়ে নিল কেন?' ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, কেন্দ্রের মোদি সরকার ইডি-সিবিআই লাগিয়ে তাদের কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারেনি। তবে দলের কিছু লোকের জন্যই তৃণমূল রানাঘাটের মানুষের সমর্থন হারিয়েছে, সেটা মেনে নেন তৃণমূল নেতা। এর পরই জেলার পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নিয়ে একের পর এক বার্তা শোনা যায় অভিষেকের মুখে।


তাঁর প্রশ্ন ছিল,' জেলার পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নিয়ে আপনারা খুশি? ভোট অবাধ-শান্তিপূর্ণ হবে, এটা আমার গ্যারান্টি।' সঙ্গে হুঙ্কার, 'যাঁরা বেইমানি-গদ্দারি করেছেন, সব হিসাব আছে।' পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোনও ধরনের গাফিলতি যে বরদাস্ত করা হবে না, সে বার্তা নদিয়াতেও দিলেন অভিষেক। বললেন, 'চাকদায় তাতলা ১ পঞ্চায়েতের ধনিচার প্রধান সোমবারের মধ্যে ইস্তফা দিন। প্রধানকে জিজ্ঞাসা করব, শেষবার কবে পঞ্চায়েতে গিয়েছেন?' এর আগে কাঁথির জনসভায় কার্যত একসুর শোনা গিয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়। 


আরও পড়ুন, বিজেপি বিধায়ক, সাংসদকে দেখলে জুতোপেটার হুঁশিয়ারি, ফের রাজনীতিতে কু-কথার স্রোত


 কাঁথির জনসভার আগে আচমকাই মারিশদার গ্রামে হাজির হয়েছিলেন অভিষেক। তাঁকে কাছে পেয়ে, অভাব-অভিযোগের কথা জানান গ্রামবাসীদের একাংশ। সেখানে তাঁকে দেখে অভাব-অভিযোগের কথা জানান স্থানীয়রা। বাড়ি পাননি, জল দাঁড়ায় বর্ষায়, এমন নানা অভিযোগ উঠে আসে। একমাত্র রেশনের চাল ছাড়া কোনও সুবিধা পান না বলেও জানান অভিষেককে। তার পর সভা থেকেই মারিশদার পঞ্চায়েত প্রধানকে ইস্তফা দিতে বলেন তিনি। ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধেও দেন। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই, বিডিও-র কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি। তবে ইস্তফা দিলেও ক্ষোভ চেপে রাখেননি। পদত্যাগপত্র পাঠানোর আগে এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হন ঝুনুরানি মণ্ডল। প্রকাশ্যে এ ভাবে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে বলেন,'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে ৪৮ ঘণ্টা কেন, ৪৮ মিনিটের মধ্যে পদত্যাগ করতে পারি। কিন্তু আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আমাকে উনি এভাবে পদত্যাগ করতে বলতে পারেন না।'