সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: উত্তর দিনাজপুরে এগারো হাজার একশো বোতল ফেন্সিডিল আটক। বড় সাফল্য এসটিএফ ও পুলিশের। উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘী থানার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে (34 National Highway)করণদিঘী হাইস্কুল সামনে গম বোঝাই লরি থেকে উদ্ধার ফেন্সিডিল বোতল। STF ও পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লরিটিকে আটক করে। লরি থেকে গমের বস্তা নামতেই ফেন্সিডিল দেখতে পায়। গম বোঝাই লরিটি উওরপ্রদেশ থেকে আসছিল। গঙ্গারামপুর যাওয়ার উদেশ্য ছিল। ফেন্সিডিল সহ লরি চালক ও সহ চালককে গ্রেফতার করেছে STF ও করণদিঘী পুলিশ প্রশাসন। চালকের নাম সন্তোষ গৌতম ও নিহাজ আহমেদ।  STF ও পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।


২০২০ সালে ফেন্সিডিল পাচার করতে গিয়েই প্রাণ হারায় এক পাচারকারী। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে এক বাংলাদেশী চোরাচালানকারীর মৃত্যু হয়। ঘটনা ঘটেছিল মালদার গোপালনগর পোস্টের কাছে।  টহলদারি চালানোর সময় এক বিএসএফ জওয়ানকে আক্রমণ করে চোরাচালানকারীরা। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁর কানে আঘাত করা হয়। এরপরেই গুলি চালান জওয়ানরা। সেই গুলিতে মৃত্যু হয় এক বাংলাদেশীর।  বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে এই খবর জানানো হয়। বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘ফেন্সিডিল চোরাচালানের চেষ্টা করার সময় ভারতীয় ভূখণ্ডে গুলিতে এক সন্দেহভাজন বাংলাদেশী চোরাচালানকারীর মৃত্যু হয়। টহলদারির সময় জওয়ানরা দেখতে পান, ১০-১২ জন ভারতীয় ও বাংলাদেশী পাচারকারী সীমান্তের দু’পারে ঘোরাফেরা করছ। জওয়ানরা ছুটে যেতেই ভারতীয় পাচারকারীরা সীমান্তের বেষ্টনীর কাছে ফেন্সিডিলের বোতলভর্তি বাক্স ফেলে দিয়ে পালায়। বাংলাদেশীরা সেই বোতলগুলি সংগ্রহ করতে যায়। তাদের মধ্যে কয়েকজন বিএসএফ জওয়ানদের দেখতে পেয়ে ছুটে পালায়। কিন্তু তাদের মধ্যে একজন ধারাল অস্ত্র নিয়ে এক জওয়ানের উপর হামলা চালায়। ওই জওয়ানের প্রাণ বাঁচানোর লক্ষ্যেই গুলি চালায় বিএসএফ। ৭৫ বোতল ফেন্সিডিল ও একটি ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।’ বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, মৃত বাংলাদেশীর দেহ স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে যাতে চোরাচালান পুরোপুরি বন্ধ করা যায়, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জওয়ানরা।


 আরও পড়ুন, 'পুরনো প্রেম', শাহ-মমতা বৈঠক ইস্যুতে মন্তব্য বিকাশের


সম্প্রতি আন্তঃরাজ্য মাদক পাচার চক্রের কিংপিন মণিপুরের দম্পতি-সহ ৩ জনকে গ্রেফতারের পর এবার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে এক মহিলা মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের এসটিএ (STF)। রঘুনাথগঞ্জ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। যার বাজার মূল্য কোটি টাকার কাছাকাছি। এর আগে শুক্রবার জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রাজগঞ্জ থেকে মণিপুরের এক দম্পতি-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। উদ্ধার হয় ২ কেজি হেরোইন ও ব্রাউন সুগার। যার দাম কয়েক কোটি টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, মণিপুর থেকে উত্তরবঙ্গ হয়ে মাদক পাচার করা হচ্ছিল। ওই তিনজনকে জেরা করেই লালগোলা থেকে মহিলা মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়।