কলকাতা: বিজেপির নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan)ইস্যুতে সোশ্যালে বিস্ফোরক বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) । এদিন বিজেপির অভিযানের ইস্যুতে উত্তাল কলকাতা-হাওড়া। সাঁতরাগাছি থেকে লালবাজার, নবান্ন অভিযানে কুরুক্ষেত্র গঙ্গার দু'পাড়। এলোপাথারি ইট,বাঁশ ছুড়লেন বিজেপি সমর্থকরা, ভাঙল ব্যারিকেড। দাউদাউ করে জ্বলে পুলিশের গাড়ি। পাল্টা বেধড়ক লাঠিচার্জ পুলিশের, চলল জলকামান, কাঁদানে গ্য়াসও। জখম বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মী, আহত পুলিশও। অবস্থান বিক্ষোভের মাঝেই সুকান্তদের প্রিজনভ্যানে তোলে পুলিশ (Kolkata Police)। নবান্ন অভিযানের আগে শুভেন্দু অধিকারী আটক করার প্রতিবাদে লালবাজারের সামনে বিক্ষোভে নামে বিজেপি।লাঠিচার্জ করে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। এরপরেই এদিন সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, আজ বিজেপির নবান্ন অভিযানের শুরুতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। প্রথমে সাঁতরাগাছিতে পুলিশের গার্ড রেল টপকানোর চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। এরপর পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় কাঁচের বোতল, ইট, পাথর এবং বাঁশ। গার্ড রেল ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয় পুলিশের কিয়স্ক। পাল্টা জল কামান ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। লাঠি উঁচিয়ে বিজেপি কর্মীদের তাড়া করে পুলিশ। রাস্তায় ফেলে মারা হয় এক বিজেপি কর্মীকে। অন্যদিকে, হাওড়া ময়দানের কাছে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেন বিজেপি কর্মীরা। অবস্থান বিক্ষোভের মাঝেই সুকান্তদের প্রিজনভ্যানে তোলে পুলিশ। এই ইস্যুতেই এদিন ফেসবুকে এবং টুইটারে একটি গার্ডরেল বসানোর ছবি শেয়ার করেন দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে লেখেন, 'ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ইতিহাসে, এই ছবিটি কালো অধ্যায়ের চিহ্ন হিসেবে রয়ে যাবে। ভারতীয় জনতা পার্টিকে, আটকাতে আটকাতে মাটি খুঁড়ে ড্রিল করে গার্ডরেল বসানো হল। কিন্তু সমুদ্রের প্রবল জলচ্ছ্বাস, সুনামির মতোই ভারতীয় জনতা পার্টিকে আটকানো সম্ভব হবে না।'
এরপরেই তিনি অপর একটি টুইটে বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। পাশাপাশি এদিন তিনি আরও বলেন, বিজেপির অভিযানের উপরে জলকামান ব্যবহারের ইস্যুটি সম্পূর্ণ রূপে অসংবিধানিক। কিন্তু প্রতিবাদ চলবে। তৃণমূলের দুর্নীতি থেকে পশ্চিমবাংলাকে রক্ষা না করা অবধি আমাদের প্রতিবাদ চলবে।'