কলকাতাঃ নারকেলডাঙায় (Narkeldanga Violence) বাড়িতে ঢুকে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বিধায়ক পরেশ পাল, কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষ এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে। ঘটনায় সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। এহেন পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি এদিন বলেছেন, 'হিংস্র হয়ে উঠছে তৃণমূল।'
'হিংস্র হয়ে উঠছে তৃণমূল' -দিলীপ ঘোষ
এদিন দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট বলেন, ' একজন গর্ভবতী মহিলাকে গর্ভপাত করানো হয়েছে। বাচ্চা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। খালি বিজেপি করার অপরাধে অত্যাচার, দিনকে দিনকে বেড়েই যাচ্ছে। গ্রামে গঞ্জে আবার অত্যাচার শুরু হয়েছে। বড়বড় নেতারা হুমকি দিচ্ছে, ছাল ছাড়িয়ে নেবে , মেরে দেবে।বদলা নেবে। তাদের গুণ্ডারা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যতই ক্ষমতা চলে যাওয়ার ভয় আশছে, ততই হিংস্র হয়ে গিয়ে পশুর মতো অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল। ' প্রসঙ্গত, নারকেলডাঙার বাসিন্দা শিবশঙ্কর দাস ও তাঁর ছেলে দীপক দাসের অভিযোগ, প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য তাঁদের দেখা করতে ডেকেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার এবং বিধায়ক পরেশ পাল। সে জন্য তাঁদের 'ছেলেরা এসে তলব' করে যায় বলে, দাবি শিবশঙ্করের। কিন্তু বাবা-ছেলে কেউই যেতে রাজি হননি। অভিযোগ, এরপরই শুরু হয় তাণ্ডব। অভিযোগ, 'প্রায় ২০০ মত ছেলে এসে আচমকাই তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয় এবং দীপককে বেধড়ক মারধর করা হয়।'
'আক্রান্ত দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়', বাড়িতে ঢুকে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি
আরও পড়ুন,পার্থ-র বান্ধবীর ফ্ল্যাটে টাকা উদ্ধার হয়েছে, অনুব্রত-র থেকে সেরকম উদ্ধার হয়নি: সৌগত রায়
যদিও কোনও মতে প্রাণ বাঁচিয়ে তিনি নারকেলডাঙা থানায় যান। এদিকে নারকেলডাঙা থানায় আরও অসুবিধা অপেক্ষা করছিল বলে, দাবি শিবশঙ্কর ও দীপকের। তাঁদের দাবি, থানায় অভিযোগ তো নেওয়া হয়নি। উল্টে তাঁদের, 'আক্রান্ত দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়।' আজ শিয়ালদহ আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরলে দেখেন যে,তাণ্ডব হয়ে গিয়েছে। দীপকের দাবি, তাঁর ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছে হামলাকারীর দল। যার জেরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। তিনি এই মুহূর্তের কলকাতার ইডেন হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, আরও অভিযোগ, মারধর করা হয়েছে বাড়ির শিশুদেরও। দীপকের মা ও আক্রান্তের শাশুড়ির এখনও ওই ঘটনার পর সামলে উঠতে পারেননি। তিনি বলছেন, 'টাকা -পয়সাও লুঠ করা হয়েছে। সব কিছু ভাঙচুর করে দিয়েছে হামলাকারীরা।' গোটা ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূল বিধায়ক ও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত বিধায়ক ও কাউন্সিলর।