শিবাশিস মৌলিক, একবালপুর : বাড়ির সামনে মদের আসর বসায় প্রতিবাদ করেছিলেন যুবক। তার জেরে প্রাণ খোয়াতে হয়েছে একবালপুরের যুবক ধনরাজ প্রসাদকে। দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে রাস্তায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে ক্রমাগত কোপাতে থাকে যুবককে। গুরুতর আহত এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ধনরাজকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়াইয়ে হার মেনেছেন বছর ৩৭- এর যুবক। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশে খবর দিলেও ব্যবস্থা নেয়নি তারা। উল্টে পুলিশ প্রতিবাদীর নাম দুষ্কৃতীদের দিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ঘটেছে এই ঘটনা। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আমজাদ এখনও ফেরার। পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের যোগসাজশের অভিযোগে সরব স্থানীয়রা। রবিবার একবালপুরে নিহতের বাড়িতে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে, বিহার থেকে দুষ্কৃতীরা এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, যে যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, তাদের যেন অবিলম্বে গ্রেফতার করা হয় এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। পুলিশকে এই ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়ার কথাও বলেছেন মেয়র।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাইরে থেকে দুষ্কৃতীরা আসছে। মদের আসর বসাচ্ছে। চলছে ড্রাগের কারবার। তার প্রতিবাদ করায় পরিণতি হচ্ছে মৃত্যু। কীভাবে এই ঘটনা ঘটছে? এলাকাবাসী বলছেন, সবাইকে সতর্ক হতে হবে। বিহার থেকে এমনিতে তো কেউ আসতে পারে না। যারা এদেরকে আশ্রয় দিচ্ছে, মদত দিচ্ছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। আপাতত প্রতিবাদী ওই যুবকের দেহ আসার অপেক্ষায় রয়েছেন এলাকাবাসী। ক্ষোভ-আতঙ্কে রয়েছেন সকলে। কবে পরিস্থিতি ঠিক হবে, কীভাবে ঠিক হবে, সব নিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খাস কলকাতায় প্রতিবাদী যুবক খুনের পর ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অথচ মূল অভিযুক্ত আমজাদ ও তার আরও কয়েকজন সঙ্গীর নামে থানায় আগেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিকে আমজাদ এখনও ফেরার। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। তার পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশকে যাদের নামে অভিযোগ জানানো হয়, তাদেরকে পুলিশই জানিয়ে দেয় যে, তাদের নামে কে বা কারা অভিযোগ করেছে। ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী। বিহার থেকে দুষ্কৃতীরা এসেছিল বলেও শোনা যাচ্ছে। কারা এদের মদত দেয় তাদের পাকড়াও করার আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।