ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: ছেলের হাতে বাবা খুন (Murder Case) । ঘটনাটি ঘটেছে সিঁথির কেদারনাথ দাস লেনে (Sinthi )। পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট বাবার নাম উৎপল কুমার রায়। ছেলের নাম উদ্দীপ্ত রায়। প্রতিবেশীদের দাবি, ছেলে নেশায় আসক্ত। প্রায় প্রতিদিনই রাতে বাড়ি ফেরার পর বাবার সঙ্গে তাঁর অশান্তি হত।


গতকালও গভীর রাতে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে দেখেন উৎপল কুমার রায় রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। তাঁর সারা দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ (Police) উদ্দীপ্ত রায়কে গ্রেফতার (Arrest) করেছে। প্রসঙ্গত, একুশ সালের শুরুতেও এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। যাদবপুরে প্রৌঢ়কে খুনের অভিযোগ উঠেছিল ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। মৃতের নাম শুভময় বন্দ্যোপাধ্যায়। রায়পুর ইস্ট রোডের আবাসনে দোতলার ফ্ল্যাটে বাবা-মার সঙ্গে থাকতেন ছেলে অর্পণ।


পুলিশ সূত্রে খবর, অবসরপ্রাপ্ত বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন অর্পণ। লকডাউনে নিজের একটি ফ্ল্যাট বিক্রিও করে দেন প্রৌঢ়। সেই টাকা আদায়ের জন্য কি চাপ দিচ্ছিলেন ছেলে ? খুনের পর উঠে আসে প্রশ্ন। প্রতিবেশীদের দাবি, বাবাকে প্রায়ই মারধর করতেন ওই যুবক। ঘটনার দিনও মারধর করেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। প্রতিবেশীদের দাবি,  সন্ধেয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আচমকাই মারমুখী হয়ে ওঠেন ওই যুবক। সেই সময়, ফ্ল্যাটের নিচের প্যাসেজে বছর প্রৌঢ়কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, কোনও কারণে বচসার জেরে ছেলে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করেন। তার জেরেই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়।


আরও পড়ুন, কালীপুজোয় তুবড়ি ফেটে মৃত্যু নবম শ্রেণীর ছাত্রের, মর্মান্তিক ঘটনা মিনাখাঁয় 


রাজ্যে নিজের সন্তানের হাতে খুন হওয়া ঘটনা আরও রয়েছে। তবে এই ঘটনাটি পুজোর আগেই ঘটে। অগাস্ট মাসে প্রকাশ্যে আসে। টাকা নিয়ে বচসা জেরে মদ্যপ অবস্থায় নিজের মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে  । তারপর রাতভর মায়ের মৃতদেহ আগলে একই ঘরে রাত্রিবাস খুনে অভিযুক্ত ছেলের।ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ডুয়ার্সের বানারহাট থানার তেলিপাড়া চা বাগান এলাকায়। ঘটনাটি ঘটে গভীর রাতে। মৃত মহিলার নাম বাবলী ওরাও (৬২)। তেলিপাড়া চা বাগানের কুমা লাইনের বাসিন্দা। ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করে বানারহাট থানার পুলিশ।