কলকাতা: ট্যাংরায় (Tangra) প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন (Fire incident)। দমকলের ৩টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে (Fire Engine)আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই প্লাস্টিক কারখানায় আগুন (Fire Incident) লাগে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে এলাকা। চারপাশে ঘন জনবসতি থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। 


 সম্প্রতি গড়িয়ার জনবহুল এলাকায় ভয়ঙ্কর আগুন লাগে। আগুনের গ্রাসে চলে যায় আস্ত একটি বাড়ি। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। ভোরবেলা এই আগুন লাগে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ  গড়িয়ায় স্টেশনের কাছে  তেঁতুলবেড়িয়া এলাকায় আগুন লাগে। বাড়িতে কেউ থাকেন না বলেই খবর। বিধ্বংসী এই আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নাকানিচোবানি খেতে হল দমকলকর্মীদের। বহুক্ষণ  আগুনের গ্রাসে চলে যাওয়া বাড়িটির ভিতরে ঢুকতেই পারেননি দমকল কর্মীরা। সকাল সাড়ে সাতটা পেরিয়ে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন পৌঁছায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়িতে কেউ থাকতেন না। স্পিকার তৈরির কারখানা হিসেবে বাড়িটি ব্যবহৃত হত।  ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আগুনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এলাকার মানুষ আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসে। এই আগুন যাতে পাশাপাশি বাড়িতে যেন না ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্যই লড়াই চালান দমকল কর্মীরা।  এত ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকায় কারখানা কীভাবে চলছিল ? কেন অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাও নেই সেখানে,  প্রশ্ন উঠছে। ডোমজুড়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে লরির গ্যারাজে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গ্যারাজটি। লরি ছাড়াও বেশ কয়েকটি গাড়ি ও বাইক আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। গ্যারেজ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের কয়েকটি গোডাউনেও। আগুন নেভাতে কয়েক ঘণ্টার লড়াই দমকলের ৩টি ইঞ্জিনের । বন্ধ গ্যারাজে ইলেকট্রিকাল শর্ট সার্কিট  থেকে আগুন লাগতে পারে, অনুমান দমকলের।


আরও পড়ুন, 'নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েতে ভোটে জিতবে বিজেপিই', কুণালকে কী চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর ?


নভেম্বর মাসে টেরিটি বাজারে (Tiretta Bazaar) তিনতলা বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের (fire) ঘটনায় প্রোমোটিং যোগের কারণে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ১২০ বছরের পুরনো বাড়িটির এমনিতেই ভগ্নদশা, অগ্নিকাণ্ডের পর আরও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে বাড়িটি। এই অবস্থায় বাড়ির সদর দরজা বন্ধ করে দেয় পুলিশ, যাতে কেউ বিপজ্জনক বাড়িটিতে ঢুকতে না পারেন। শতাধিক বছরের পুরনো এই বাড়িটির তিনতলায় আগুন লাগে। ঝুঁকি নিয়ে জীর্ণ বাড়িতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার লড়াই চালান দমকলকর্মীরা। রাত ৯টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার সঠিক কারণ জানতে, ফরেন্সিক তদন্তের নির্দেশ দেন সেসময় দমকলমন্ত্রী। যদিও, অগ্নিকাণ্ডের পিছনে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।