কলকাতা: কয়লাপাচারকাণ্ডে (Coal Scam) নাম জড়াতেই, বিমানবন্দরে বাধা পেয়েছিলেন অভিষেকের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা। মূলত সেসময় ব্যাঙ্কক যেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন সেময় মেনকা গম্ভীর। তবে, 'মেনকা গম্ভীরকে আটকানো ঠিক হয়নি', হাইকোর্টে (Calcutta High Court) স্বীকার করল ইডি (ED)।

  


কলকাতা হাইকোর্টের তরফে মেনকা গম্ভীরের (Menoka Gambhir) ইস্যুতে একাধিক নির্দেশ রয়েছে। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, মেনকা গম্ভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে, তা কলকাতাতেই করতে হবে। যখনই প্রয়োজন পড়বে, ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। পাশাপাশি কোনও কঠোর পদক্ষেপ তার বিরুদ্ধে নেওয়া যাবে না।মূলত মেনকাকে পাসপোর্ট জমা রাখা বা বিদেশ যেতে পারা যাবে না, এধরণের কোনও নির্দেশই দেওয়া হয়নি। কিন্তু ব্যাঙ্কক যাওয়ার পথে মেনকাকে আটকেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা। এটা আইনসঙ্গত হয়নি বলে অভিযোগ। আদালতের সেই নির্দেশ অবমাননা করা হয়েছে অর্থাৎ মানা হয়নি বলেই অভিযোগ তুলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর। এবার এই ইস্যুতেই বিমানবন্দরে বাধা দেওয়া ঠিক হয়নি, বৃহস্পতিবার  হাইকোর্টে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তবে পাশাপাশি জানিয়েছে, এই ঘটনায় আদালত অবমাননা করা হয়নি। এই মামলায় শুনানি শেষ হলেও আদালতের রায়দানের অপেক্ষায় সবাই।


সম্প্রতি কয়লাকাণ্ডে (Coal Scam) মেনকা-কে ইডির প্রথম তলব ঘিরে প্রশ্ন তোলে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার-সহ শাসকদল। মূলত মধ্যরাতে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা। মেনকা গম্ভীরের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ১২ সেপ্টেম্বর ‘টুয়েলভ থার্টি AM’-এ তাঁর মক্কেল মেনকা গম্ভীরকে কয়লাকাণ্ডেে তলব করেছিল ইডি। নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগেই তাঁরা পৌঁছে যান সিজিওয়। কিন্তু, এসে দেখেন, সিজিওয় ঢোকার মেন গেট তালাবন্ধ। কর্তব্যরত এক জওয়ানকে তাঁরা বলেন, আমাদের ডেকেছে, তাই এসেছি। তারপর জওয়ান দরজা খুলে দিতেই তাঁরা হেঁটে ভিতরে ঢোকেন। লিফটে করে পৌঁছে যান ইডির অফিসে। পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করার পর নিচে নেমে আসেন। আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। কী করে একজন মহিলাকে রাত সাড়ে বারোটার সময় তলব করা হয় ? এটা কি আইন অনুযায়ী হয়েছে ? প্রশ্ন তোলে শাসকদল।


আরও পড়ুন, পঞ্চমীতে পেট্রোলের দামে স্বস্তি কলকাতায়, ডিজেলের দর কত সারা দেশে ?


অপরদিকে শাসকদলের তরফে স্পষ্ট করা হয়, মেনকা গম্ভীরের সঙ্গে তৃণমূল (TMC) দলের প্রত্যক্ষ কোনও সংযোগ নেই, তিনি দলের কোনও পদাধিকারী বা সদস্যও নন বলেই শাসকদলের তরফে দাবি করা হয়। তবে রাজনৈতিক পরিচয় না থাকলেও,  তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারা। আসল লক্ষ্য হচ্ছে, তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। অভিষেকের পরিবার বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের এভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।