কলকাতা: গুলি-মন্তব্যের জেরে, তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ব্যাঙ্কশাল আদালতে অভিষেকের বিরুদ্ধে এই মামলা করে সুকান্ত। এবার এই ইস্যুতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
মূলত, বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন উত্তাল হয়ে ওঠে গঙ্গার দুই পাড়, হাওড়া-কলকাতা। পুলিশের গাড়ি জ্বালানোর অভিযোগ ওঠে। প্রসঙ্গত, নবান্ন অভিযানের দিন, পাথর ছোড়া থেকে, ইটের টুকরো, কাঁচ সবই ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে। শাসকদল, বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলে। গ্রেফতার করা হয় একের পর একজনকে। তবে আবার পাল্টা এই গ্রেফতার ইস্যুতেই সরব হয় গেরুয়া শিবির। তাঁরা দাবি করে বিনা কারণেই তাঁদের একাধিক দল কর্মীদের উপর বলপূর্বক গ্রেফতার করা হয়েছে।
আর সেই বিজেপির নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhiyan) প্রসঙ্গে অভিষেক বলেছিলেন, 'আমি থাকলে এখানে গুলি করতাম', আহত এসিপি দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএমে দেখতে গিয়ে, কপাল দেখিয়ে এমনটাই বলেছিলেন তৃণমূলের যুবরাজ। আর এই ইস্যুতেই ওঠে বিতর্কের ঝড়। আর ইতিমধ্যেই গুলি-মন্তব্যের জেরে, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সুকান্ত মজুমদার। যা নিয়ে এদিন কুণাল ঘোষ বলেছেন, যাদের মানুষের দরবারে যাওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই, বারবার প্রত্যাক্ষত হন, তাঁরা এই ধরণের নানা বিতর্কে জড়িয়ে শিরোনামে থাকতে চান। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কি ভূলে গেলেন, সায়ন্তন বসুর মন্তব্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে, বুক লক্ষ্য করে গুলি চালান। তিনি কি ভূলে গেলেন, দিলীপ ঘোষ, অনুরাগ ঠাকুরদের বক্তব্য, দেশ কি গদ্দারোকো গোলি মারো ! অভিষেক কাদের বলেছেন, সাধারণ মানুষকে তো বলেননি। দুষ্কৃতিদের জন্য, গুণ্ডা, যারা মারছে....পুলিশ খুন করতে যাচ্ছে, পুলিশের গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, তাঁদের ক্ষেত্রে বলেছেন।
আরও পড়ুন, 'নিজের ঢাক নিজেই বাজচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী', বলেন দিলীপ, কী প্রতিক্রিয়া শান্তনু-র ?
অপরদিকে এদিন, সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেন, 'যেভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অন ক্যামেরা বলেছিলেন, আমি থাকলে পরে, মাথায় গুলি করতাম। তা প্রমাণ করে, পুরো ভিন্ডিকটিভ যে আচরণ করা হয়েছিল, অভিযানের দিন আমাদের প্রচুর কর্মীকে যে গ্রেফতার করা হয়েছে, পুরোটাই তাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত এবং তাঁর আদেশে হয়েছে। সে জন্য আমরা, মামলা করতে চেয়েছিলাম। পশ্চিমবঙ্গে আইন ব্যবস্থার কী ভয়ঙ্কর অবস্থা দেখুন, প্রথমে আমরা থানা গেলাম, মামলা করার জন্য, আমাদের মামলা নেওয়া হয়নি। আজকে যখন আমরা কোর্টের দ্বারস্থ হলাম, মামলা করার জন্য, দুর্ভাগ্যের বিষয়, সরকারি আইনজীবীরা, বিচরককে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।'