সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: MAKAUT বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৮৩৭ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সবপক্ষকে হলফনামার নির্দেশ বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চের। পুজোর পরে হবে ফের শুনানি রয়েছে। রাজ্যের করা অডিটে দুর্নীতির সন্ধান পাওয়া গেলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন, অভিযোগ মামলায়। টেন্ডার ছাড়াই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বেআইনি ভাবে কর্মী নিয়োগের অভিযোগে দায়ের হয়েছিল মামলা। 

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, বীরভূমের TMC-র প্রথম সারির নেতার বাড়িতে ED-র হানা, ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার, অর্ধেক অর্থের 'নেই হিসাব' !

Continues below advertisement

 আদালতের বক্তব্য হচ্ছে, এই গোটা মামলার ক্ষেত্রে হলফনামা পেশ করতে হবে। এবং তারপরে পুজোর পরে এই মামলার পূর্ণাঙ্গ বিচারপ্রক্রিয়া এগোবে। এখন মূল যে অভিযোগ আইনজীবীরা করছেন, তারা বলছেন যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৮৩৭  কোটি টাকার বেশি আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে, গড়মিল হয়েছে। এবং তাঁরা খুব স্পষ্ট করে বলছেন যে, বহুক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে টেন্ডার ছাড়াই বরাত দেওয়া হয়েছে। এবং তার কোনও হিসাব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। তারা সেই হিসাব গ্রহণ করার প্রয়োজনিয়তা বোধ করেননি। তাঁরা বলছেন যে, বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, কোনও ভুয়ো সংস্থাকে কাজের বরাত, দেওয়া হয়েছে। এবং সেখানে সেই অর্থ বরাদ্দ করে, অর্থ দিয়ে পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে কারও কাছে কোনও খবর নেই। অভিযোগ এটাও করা হচ্ছে যে, বহুক্ষেত্রে এমন টাকা রয়েছে, যেগুলি আগে দিয়ে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেই কাজ এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয়নি। আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, বহু বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। পদ্ধতি না মেনে নিয়ম না মেনে নিয়োগ হয়েছে। এবং বেশ কিছু উচ্চপদে এমন ব্যক্তিদের বসানো হয়েছিল, যেই ব্যক্তিদের নিয়োগ করা কার্যত ওই বিশ্ব বিদ্যালয়ের পক্ষে অনুচিত ছিল। কিন্তু সেখানেও বেশ কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। 

সম্প্রতি আরও একটি দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়েছে। স্কুলে যেদিন পড়ুয়ার সংখ্যা ৮২, সেদিন মিড ডে মিলের খাতায় সংখ্যাটা পাঁচ গুণ বাড়িয়ে দেখানো হয় ৪১০ জন। গত ৫ বছর ধরে এভাবেই মিড ডে মিলের টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের কৈথন প্রাথমিক স্কুলে এমনই অভিযোগ উঠেছে।প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষা দফতর এবং BDO-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই স্কুলের সহ শিক্ষকরা। তাঁদের অভিযোগ, ক্ষুদে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার জন্য় সরকারি অ্যাপেও তথ্যে গরমিল করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক অসীম মণ্ডল অবশ্য দাবি করেছেন, নথিতে ভুল-ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছে, কোনও বেনিয়ম হয়নি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে স্কুল পরিদর্শক।