ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২৭ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অফিসের সামনে নিয়ে গিয়ে 'প্রতারণা' করা হয়েছে। পরিবহণ সংক্রান্ত লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নামে এই ঘটনা ঘটায় অভিযুক্ত। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর, কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রকে তার জানাশোনা আছে বলে দাবি করে অভিযুক্ত। ওই ব্য়বসায়ী হিলি সীমান্তে আমদানি-রফতানির ব্যবসা করেন। অভিযুক্তকে শেক্সপীয়র সরণি থানা গ্রেফতার করেছে। ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে।


কী ঘটনা ?


২০২১ সালের এই ঘটনায় কৌশিক সরকার নামে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে শেক্সপীয়র সরণি থানার পুলিশ। অভিযোগকারী ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তাঁর হিলি সীমান্তে আমদানি-রফতানির ব্যবসা রয়েছে। এই কাজের জন্য লাইসেন্সের সুবিধা করে দেওয়া, এক্সপোর্ট-ইমপোর্টে সুবিধা করে দেওয়া, এরকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৌশিক সরকার ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা বিভিন্ন সময়ে নিয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, আরও অভিযোগ, ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে ওই ব্যবসায়ীকে নিয়ে আসে কৌশিক সরকার। অভিষেকের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। কিছুক্ষণ পরে এসে বলে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অফিসে নেই। তিনি দেখা করতে পারবেন না। এরপরই অভিযোগকারী বোঝেন তিনি পুরোপুরি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতর ও মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ আছে বলে দাবি করে। এরপর ব্যবসায়ীর তরফে শেক্সপীয়র সরণি থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। জালিয়াতি, প্রতারণা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে কৌশক সরকারকে পুলিশ গ্রেফতার করে। 


দিনকয়েক আগেই নাম ও পরিচয় বিকৃত করে পুলিশ এবং সাংসাদের আপ্ত সহায়কের পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হয় এক প্রতারক। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম শেখ মমতাজ আলি। পুলিশ ও অভিযোগকারীর দাবি, বারাসতের টালিখোলার বাসিন্দা তপন মজুমদার ও তাঁর ভাই পাসপোর্ট সংক্রান্ত নথি জোগাড়ের খোঁজ করতে গিয়ে  শেখ মমতাজ আলির খপ্পরে পড়েন। মমতাজ নিজের নাম বলেন, অনুপম চক্রবর্তী। জানান, তার স্ত্রী জয়শ্রী চক্রবর্তী বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন। পুলিশের বড় বড় কর্তার সঙ্গে সখ্যতা আছে শুনে বিশ্বাস করেন মজুমদার পরিবারের দুই ভাই। 


মমতাজ তাদের বলে, পাসপোর্ট এবং জমি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে দেবেন। এর জন্য টাকা দিতে হবে। এরপর  তপন মজুমদার ও তাঁর ভাইয়ের থেকে নানা ভাবে কয়েক দফায় একাধিক ফিরিস্তিতে ৭৯ হাজার টাকা নেয়। পরে প্রতারণার শিকার হয়েছে বুঝে তাঁরা বারাসত থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, ধৃত যুবক মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা এবং তিনি যে নাম ব্যবহার করেছেন তা সঠিক নয় এবং তার পরিচয় এবং তার যে স্ত্রীর পরিচয় তাও পুরোপুরি ভুয়ো। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।