ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: এপিসি রোডে (APC Road) সরষের তেলের (Mustard Oil) জাল কারবারের হদিশ। সরষের তেলে ভেজাল মিশিয়ে বিক্রির অভিযোগ। এনফোর্স মেন্ট ব্রাঞ্চের (Enforcement Branch) অভিযানে বাজেয়াপ্ত ৫৫০ লিটার তেল। সিল করে দেওয়া হল গুদাম। তেলের নমুনা পাঠানো হল ল্যাবরেটরিতে (Laboratory)। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত বলে দাবি গুদাম মালিকের।
কলকাতায় ফের ভেজাল কারবারের অভিযোগ। বড়তলা থানা এলাকায় এনফোর্স মেন্ট ব্রাঞ্চের (Enforcement Branch) অভিযান। বাজেয়াপ্ত সাড়ে ৫০০ লিটার ভেজাল সরষের তেল। মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস তুলে প্রতি লিটারে সরষের তেলের দাম এখন ১৭৫ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকালে ভেজাল সরষের তেল (Contaminated Mustard Oil) মজুত করার অভিযোগ পেয়ে, বড়তলা থানা এলাকার এপিসি রোডের (APC Road) ধারে এই গোডাউনে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই গোডাউনে (Godown) নিম্নমানের তেলের সঙ্গে রাসায়নিক মেশানো ভেজাল সরষের তেল মজুত করা হত। তারপর গোডাউন থেকে সেই তেল চলে যেত বিভিন্ন বাজারে। গোপনসূত্রে সেই খবর পেয়ে এদিন এই গোডাউনে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (Enforcement Branch)। বাজেয়াপ্ত করা হয় ৫৫০ লিটার ভেজাল সরষের তেল। পাশাপাশি গোডাউনটি সিল করে দেওয়া হয়। যদিও ভেজাল সরষের তেল মজুতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোডাউন মালিক। তাঁর পাল্টা দাবি, গোডাউনের জমিতে প্রোমোটিং করার জন্য স্থানীয় এক শ্রেণির বাসিন্দারা চক্রান্ত করছেন। এদিন বাজেয়াপ্ত ভেজাল মেশানো সরষের তেলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত বছর অক্টোবর মাসে সবজির দামবৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে একাধিক বাজারে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ বা ইবি-র আধিকারিকরা। মূলবৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে মজুতদারি ও কালোবাজারি চলছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন বাজারে হানা দেয় রাজ্য এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।
আরও পড়ুন: Durgapur News: খরচ পড়ছে ৫০ লক্ষ টাকা, অক্সিজেন প্লান্ট বসছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপালে