আবির দত্ত, কলকাতা : নেতাজি নগরে আইনজীবীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকির অভিযোগ। অভিযুক্তদের ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে নিয়ে গেলে হাসপাতালে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। সার্জিক্যাল কাঁচি নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মূল অভিযুক্ত-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিজেকে যুব তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি বলে দাবি করেছেন ওই আইনজীবী। নেপথ্যে দলেরই কেউ, সন্দেহ বাবার।
নেতাজিনগরে আক্রান্ত পুলিশ। গতকাল আইনজীবীর বাড়ির সামনে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের খবর পেয়ে অভিযুক্তদের ধরতে গেলে নেতাজিনগর থানার সাব ইন্সপেক্টর দীনবন্ধু কেশের ওপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা পুুলিশকে নিগ্রহ করে, রক্তাক্ত হন ওই SI. এরপর বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চড়াও হয়ে সার্জিক্যাল কাঁচি নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত ঘোষ-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
খাস কলকাতায় দুষ্কৃতী ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। ঝরল রক্ত। দুষ্কৃতী হামলায় জখম হলেন নেতাজি নগর থানার সাব ইন্সপেক্টর। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। বিদ্যাসাগর কলোনির এই বাড়িতেই থাকেন আলিপুর আদালতের আইনজীবী দীপায়ন ঘোষ। নিজেকে কলকাতা পুরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বাড়ির সামনে দলবল নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে তাঁকে খুনের হুমকি দেয় স্থানীয় দুষ্কৃতী জয়ন্ত ঘোষ। আইনজীবীর ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। অভিযোগ, সেই সময়, দুষ্কৃতীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এখানেই শেষ নয়। জখম পুলিশ কর্মীকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে নিয়ে গেলে দুষ্কৃতীরা বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গিয়েও চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
আরও অভিযোগ, সার্জিক্যাল কাঁচি নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের আক্রমণ করা হয়। আইনজীবীর দাবি, তাঁর ওয়ার্ডে অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করায় এই হামলা। ঘটনায় আতঙ্কিত আইনজীবীর পরিবার। পাশাপাশি, চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ করেছেন আইনজীবীর বাবা। ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত ঘোষ-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আক্রান্ত আইনজীবী দীপায়ন ঘোষ অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় দুষ্কৃতী জয়ন্ত ঘোষের বিরুদ্ধে। দীপায়নের কথায়, 'আমি পেশায় আইনজীবী এবং ওয়ার্ডের যুব তৃণমূলের প্রেসিডেন্ট। যবে যুব প্রেসিডেন্ট হয়ে আসি তারপর থেকে ওর দুষ্কৃতী কাজকর্মগুলো বন্ধ রেখেছিলাম। ও ঘর থেকেবেরোতে পারছিল না। গত কয়েকদিন ধরে আবার কাজগুলো শুরু করেছে। বাড়ির সামনে চড়াও হয়। বন্দুক ঠেকিয়ে বলেছে ওদের পথ থেকে যাতে সরে যাই।'
অন্যদিকে, আক্রান্ত আইনজীবীর বাবা পলব ঘোষের অভিযোগ, 'সাচ্চা পলিটিক্স করে বলে আজকে এই অবস্থা। এর মধ্যে ভাল লোকই জড়িত আছে। হতে পারে দলের লোকও। না হলে করবেটা কে? পিছনে লোক না থাকলে হয়? যাতে এই ছেলেটা উঁচু পজিশনে না যেতে পারে, বদনাম করা, বলা যায় না একে সরিয়েও দিতে পারে মানে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে পারে। এ তো নিজেদের লোক ছাড়া কেউ হতে পারে না।'