কলকাতা: বৃহস্পতিবারই এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) শান্তিপ্রসাদ সিন্হা ( Santi Prasad Sinha) ও দুই মিডলম্যান প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিং-কে আলিপুরে সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালতে তোলা হয়। আর তার পরেই দুইপক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল জবাবের পরেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।


কতজনকে জনকে টাকা বিনিময়ে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে, জিজ্ঞাসা করেন বিচারক। সিবিআই-র আইনজীবী বলেন, অনেককেই। এরপরেই বিচারক বলেন, সেটা বুঝতে পেরেছি, কিন্তু ঠিক কতজনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে ? সিবিআই-র অফিসার রিপোর্ট দিয়ে জানান, সেখানে বিস্তারিত উল্লেখ আছে। যদিও ২ মিডলম্যানের জামিনের আর্জির বিরোধীতা করে সিবিআই-র আইনজীবী বলেন,জামিন পেলে তথ্য প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন প্রসন্ন রায়, প্রদীপ সিংহরা। কারন ওই দুজনই অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে চেনেন।সিবিআই-র আইনজীবীর তরফে দাবি করা হয়, স্কুল নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল শান্তিপ্রসাদ সিনহার। আর্থিক লেনদেন হত নগদে। বিনিময়ে দেওয়া হত নিয়োগপত্র বলে জানান সিবিআই-র তদন্তকারী অফিসার। সেই টাকা যেত মিডলম্যান প্রসন্ন রায় এবং প্রদীপ সিংহ-র মাধ্যমে।


উল্লেখ্য, নবম-দশমে  এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হন প্রদীপ সিংহ।  আর তাকে গ্রেফতার করার পরেই তার সল্টলেকের  অফিসে প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা চলে টানা তল্লাশী। জিডি ব্লকের ২৫৩ নং বাড়ি যান তদন্তকারী আধিকারিকরা।তদন্ত সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই অফিসে আসতেন প্রদীপ সিংহ (Pradip Sinha) । সিবিআই সূত্রে খবর, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে চাকরি পাইয়েও দিয়েছিলেন।  আরও কারা এখানে জড়িত রয়েছে, কীভাবে এই নিয়োগ দুর্নীতি প্রশ্ন উঠেছে। সিবিআই-র আইনজীবী বলেন, প্রদীপ মিডলম্যান হিসাবে কাজ করতেন।অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসএসসি-র নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে যোগযোগা করতেন প্রদীপ। অনেকগুলি ইমেল আইডি পাওয়া গিয়েছে, যেখানে অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। কার কথায় তালিকা তৈরি করা হত ? কে নির্দেশ দিতেন ? আর কারা কারা যুক্ত রয়েছেন ? তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। 


আরও পড়ুন, মমতার মন্তব্যের প্রতিবাদ, ঘুগনি ও ঝালমুড়ি বিক্রি করলেন বিজেপি বিধায়করা !


নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় তিন অভিযুক্ত-পার্থ, কল্যাণময়, এস পি সিন্হা।  সিবিআই সূত্রের খবর, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি কারা নিয়ন্ত্রণ করত, তাতে পার্থর কী ভূমিকা ছিল, তা বিশদে জানতে চাওয়া হবে পার্থর কাছে, আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও পার্থর দাবি, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। কমিটি গঠনের ফাইলে সই করেছিলেন মাত্র। কিন্তু গোয়েন্দাদের প্রশ্ন, তিনি না জানলে, কারা জানত। এই সব প্রশ্ন উঠছেই। সূত্রের খবর,  টাকার লেনদেন ও প্রভাবশালী যোগের সন্ধান পেতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে আলাদা আলাদা ভাবে জেরা করা হয়। সিবিআই সূত্রে দাবি, পার্থ নিয়োগ দুর্নীতি-যোগ অস্বীকার করলেও, তথ্যপ্রমাণ বলছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সরাসরি যোগ রয়েছে।