কলকাতা: বাংলা কি এখন কালো টাকার (Black Money) হাব হয়ে দাঁড়াল? এ যেনও টাকার ছড়াছড়ি! হাওড়ায় ব্যবসায়ী ও পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শৈলেশ পাণ্ডের ফ্ল্যাট, গাড়ি ও অ্যাকাউন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশের অভিযানের কিছুক্ষণ আগে কয়েকটি ব্যাগ গাড়িতে তুলে পালিয়ে যাচ্ছেন শৈলেশের ভাই অরবিন্দ ও তাঁর মা। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে।


টাকা গাড়িতে তুলে কেন পালিয়ে গেল শৈলেশ ? 


তদন্তকারীদের অনুমান, সেই ব্যাগেও টাকা পাচার করা হয়ে থাকতে পারে। এর পাশাপাশি, সিসিটিভি ক্যামেরায় শৈলেশকে টাকা ভর্তি গাড়ি ফেলে পালিয়ে যেতেও দেখা গেছে। তাই প্রশ্ন জোরাল হচ্ছে শৈলেশ পুলিশি অভিযান সম্পর্কে কি জানতে পেরে গেছিলেন ? কে খবর দিয়েছিল তাঁকে? রহস্যজনক লেনদেন নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। সপরিবারে পলাতক ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডে। তবে তদন্তকারীদের অনুমান, এই বিপুল পরিমাণ টাকা এসেছিল বিদেশ থেকেই। তাঁদের ধারণা, কালো টাকা সাদা করতে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। আর শৈলেশ পাণ্ডেই ছিলেন সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টের ইনট্রোডিউসার। মূলত তাঁর মাধ্যমেই চলত কালো টাকা সাদা করার কারবার, অনুমান পুলিশের। 


বাংলা কি এখন কালো টাকার হাব হয়ে দাঁড়াল?


আর এরইসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বারবার বিপুল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে ।তাহলে কি পশ্চিমবঙ্গ কালো টাকার হাব হয়ে উঠেছে ? গত কয়েক মাসে রাজ্যে একের পর এক টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালির চোখ কপালে উঠেছে। অর্পিতার টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পর, হালিশহরের তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যানের বাড়ি ও রিসর্টে হানা দিয়ে ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়।


আরও পড়ুন, নিয়োগকাণ্ডে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তিনি, কে এই তাপস মণ্ডল?


পশ্চিমবঙ্গে এত টাকা উদ্ধার হচ্ছে কী করে?


সম্প্রতি মালদার গাজোলের মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িত থেকেও উদ্ধার হয় ১ কোটি ৩৯ লক্ষেরও বেশি টাকা। আবার তারপরই গার্ডেনরিচ থেকে হদিশ মেলে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকার। আর শুধুই কী বাড়িতে টাকা,সম্প্রতি লোকাল ট্রেন থেকেও উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৬১ লক্ষ টাকা। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গে এত টাকা উদ্ধার হচ্ছে কী করে?
কীভাবে মজুত হচ্ছে এত টাকা ? চোখ কপালে গোয়েন্দাদের।