Rajarhat Teacher Heckled: কাকদ্বীপে স্কুলের মধ্যে পড়ুয়াদের সামনেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছেন তৃণমূল নেতা। চাপের মুখে গ্রেফতার হয়েও ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন অভিযুক্ত। এই ঘটনায় রাজ্য-রাজনীতি যখন তোলপাড় তখন ফের শিক্ষক নিগ্রহের অভিযোগ এল সামনে। এবার রাজারহাটে। আলো নিভিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে ঘর বন্ধ করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেখানে। শিক্ষিকার দাবি, প্রাণভয়ে স্কুলের শৌচাগারে বেশ কিছুক্ষণ লুকিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, এই শিক্ষিকা শাসক দলের শিক্ষা সেলের পদাধিকারী। 

Continues below advertisement

আক্রান্ত শিক্ষিকা বলছেন, 'বেশ কিছু মানুষজন স্কুলের ভিতরে প্রবেশ করেন। আমার কক্ষ থেকে বের হই। সেই সময় ওনাদের মধ্যে থেকে একজন ভদ্রমহিলা ছুটে আসেন এবং হঠাৎ করে আমাকে মারধর করতে শুরু করেন। আমি যেই মুহূর্তে বেরোই, সকলে মিলে আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। জামাকাপড় ধরে টানতে শুরু করেন। আমার উপরে এলোপাথাড়ি চড়, থাপ্পড়, ঘুষি চলতে থাকে। হাত-পা ধরে টানাটানি করতে থাকেন। চুল ধরে টানা হয়। সেই সঙ্গে প্রহার চলতে থাকে। আমার কক্ষের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আমি আরেকবার শৌচাগারে যাওয়ার চেষ্টা করি। সেই সময় ঘর থেকে বেরোতেই স্কুলের সামনের মাঠ থেকে কয়েকজন আমার দিকে ধেয়ে আসেন। কয়েকজন করিডরে ঢুকেও পড়েন। আমার দিকে চড়াও হয়ে তেড়ে আসেন। আমি দ্রুত শৌচাগারে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিই। বাইরে থেকে ক্রমাগত শৌচাগারের দরজায় আঘাত করতে থাকেন কয়েকজন। প্রায় দরজা ভেঙে ফেলার পরিস্থিতি। লাইফ রিস্ক মনে করে, অনেকক্ষণ শৌচাগার থেকে বেরোইনি। ওখানেই আটকে ছিলাম বেশ কিছুক্ষণ।' 

রেহাই নেই তৃণমূলের শিক্ষক-নেত্রীরও। আলো নিভিয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে ঘরবন্দি করে মারধরের অভিযোগ উঠল রাজারহাটে। প্রধান শিক্ষিকার দাবি, মারধরের হাত থেকে বাঁচতে স্কুলে শৌচাগারে লুকিয়ে থাকতে হয়েছে তাঁকে। রাজারহাট থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন অভিযোগকারিণী। আলো নিভিয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে ঘরবন্দি করে মারধরের অভিযোগ উঠল রাজারহাটে। প্রধান শিক্ষিকার দাবি, মারধরের হাত থেকে বাঁচতে স্কুলে শৌচাগারে লুকিয়ে থাকতে হয়েছে তাঁকে।  তৃণমূলপন্থী শিক্ষক সংগঠনের বারাসাত সাংগঠিক জেলার সহ সভাপতি এই আক্রান্ত শিক্ষিকা। এই ঘটনা নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, স্কুল শিক্ষা কমিশনারকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। রাজারহাট থানায় মেল করে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি। যদিও প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ অস্বীকার করে অভিভাবকদের দাবি,  স্কুলে দীর্ঘদিন বাংলার শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষিকাকে এনিয়ে বার বার বলা হলেও তিনি কোনও পদক্ষেপ নেননি। 

Continues below advertisement