কলকাতা: শহরে শিশুদের মধ্যে বাড়ছে RS ভাইরাসের সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে RS ভাইরাস আক্রান্ত শিশুদের। কী করে বুঝবেন আপনার সন্তান আক্রান্ত কিনা ? এবিপি আনন্দ-এ সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত জানালেন চিকিৎসক প্রভাসপ্রসূণ গিরি।
আরও পড়ুন, ভোটার তালিকা নিয়ে 'রাহুল গান্ধীর অভিযোগ ভিত্তিহীন', কী বলছে নির্বাচন কমিশন ?
ঘিলু-খেকো অ্যামিবা নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই এবার নতুন আতঙ্ক রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস। শিশুদের মধ্যে বাড়ছে এই আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা। একদিকে ঘিলু-খেকো অ্যামিবা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ।চিকিৎসক প্রভাসপ্রসূণ গিরি বলেছেন, 'ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে, ..প্রথম উপসর্গ ..সর্দি-কাশি,জ্বর, শ্বাসকষ্ট হয়। যাদের বয়স এক বছরের নীচে, তাঁদের ক্ষেত্রেই বেশি সিরিয়াস হয়। তাঁদেরই সমস্যা বেশি হয়। জ্বর অল্প থাকে। প্রধানত শ্বাসকষ্টই থাকে। সেক্ষেত্রে, যেসকল ছোট বাচ্চা যাদের শ্বাসকষ্ট থাকে, তাঁদেরকে আমরা বলি যে, খেয়াল রাখতে, বাড়িতে শ্বাসকষ্ট কিছু হচ্ছে কিনা। যদি বাড়ির লোক দেখতে পায়, বুকটা বারবার ওঠানামা করছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আনতে হবে।'
অন্যদিকে এরাজ্যে আতঙ্কের নাম রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল বা RS ভাইরাস।গত ২ সপ্তাহে রাজ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে RS ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এতে মূলত আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাই। সদ্যোজাতদের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আরও বেশি। তবে আক্রান্ত হতে পারেন ষাটোর্ধ্বরাও। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সহেলি দাশগুপ্ত বলেন,এই রোগের উপসর্গের সঙ্গে মিল রয়েছে অন্য়ান্য় ভাইরাসঘটিত রোগের। এই রোগে আক্রান্তদের। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি,খাওয়ায় অরুচির মতো নানান উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুমন পোদ্দার বলেন, সরকারি হাসপাতাল তো বটেই, শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার পর শিশুদের মধ্যে ধরা পড়ছে এই রোগ। যেমন পার্ক সার্কাসের ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ-এ পরীক্ষায় গত ১ মাসে আর এস ভাইরাসে আক্রান্ত ৪১ জন শিশুর হদিশ মিলেছে।
প্রসঙ্গত, কেরলে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবার দাপট। মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬৯। ৬৯ জন অ্যামিবা আক্রান্তের মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কোঝিকোড়, মালাপ্পুরমে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হয়েছে।গতবছর ও চলতি বছরে এ রাজ্যেও অ্যামিবা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে !এ রাজ্যেও প্রায় ২০ জন অ্যামিবা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ২০ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৪ জন ভর্তি ছিলেন মল্লিকবাজার INK-তে INK-তে ভর্তি থাকা ১৪ জনের মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়।