কলকাতা: ঘরোয়া অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ও বিজেপি নেতা সজল ঘোষের (Sajol Ghosh) সাক্ষাৎ ঘিরে বিতর্ক চরমে। বড়দিনের একটি অনুষ্ঠানে সজল-কুণাল সাক্ষাৎ। বিজেপির উত্তর কলকাতার প্রাক্তন জেলা সভাপতি শিবাজি সিংহ রায়ের অনুষ্ঠানে দুজনের দেখা। দুজনকেই আমন্ত্রণ জানান শিবাজি, অনুষ্ঠানে দুজনের দেখা হওয়া ও কথাবার্তা ঘিরে বিতর্ক।


রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা সবসময় কমবেশী বিতর্কের চরমে থাকেন। তার উপর যদি শাসকদলের কারও ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পৌঁছে যান কোনও বিরোধী দলনেতা বা নেত্রী। তাহলে তো আর কথাই নেই। এর আগেও বহুবার এমন দৃশ্য দেখেছে কলকাতা। তবে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে কোনও শাসক ও বিরোধী সাক্ষাৎ মানে যে নির্ঘাত দলবদলুদের ঘরে নাম লেখানো ছাড়া আর কিছুই নয়, তার উদাহরণ ভুরিভুরি। সেই তালিকায় রাজীব, মুকুল থেকে আরও একাধিক নাম । তবে একুশের ভোটের পরে সেই বিতর্কের আঁচ একটু কমে।


ঠিক একবছর আগে তৃণমূল (TMC) নেতা সব্যসাচী দত্তের বাড়ির পুজোতে উপস্থিত হন বিজেপি (BJP) নেত্রী  অঞ্জনা বসু (Anjana Basu)। এরপরে উঠে আসে সেই স্বাভাবিক প্রশ্ন, তাহলে কি তৃণমূলে কি যোগ দিচ্ছেন অঞ্জনা ? এদিকে অঞ্জনা বসু রাজনীতির পাশপাশি অভিনয় জগতের সঙ্গেও যুক্ত। যুক্তিটা একটু বাদেই প্রয়োজন হবে। একই বছরে বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘটে আরেক আলোড়ন। কামারহাটির তৃণমূলের বিধায়াকের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন বিজেপি নেত্রী শ্রাবন্তী। তারপরেই ফের রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু এই দুটি ইস্যুতেই একপক্ষ অভিনয়-তথা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অর্থাৎ মদন-সব্যসাচী শুধুই ঘাসফুল। তাই বিষয়টায় এই যুক্তিটাই পরে দেওয়া হয়। রাজনীতির বাইরে সৌজন্য সাক্ষাত ! যদিও এই সাক্ষাত বিতর্ক একুশ ছাড়িয়ে বাইশেও রেশ রেখেছে। রাজনীতির ছায়া পড়েছে 'প্রজাপতি' ছবিতেও।  


আরও পড়ুন, রিয়েলিটি শো'তে সুযোগের নামে প্রতারণা ! অভিযোগ দায়ের নামী টিভি চ্যানেলের


আর এবার বাইশের শেষে কুণাল ও সজল সাক্ষাৎ ঘিরে বিতর্ক ! ইতিমধ্যেই দুজনের কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল। 'যেখানে খাবারের গন্ধ, সেখানেই বিনা আমন্ত্রণে পৌঁছে যান কুণাল', সজলের বক্তব্য ঘিরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ কুণাল ঘোষের। পরে ক্ষমা চেয়েও কুণালের রাজনৈতিক সৌজন্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সজল ঘোষ। তবে ব্যাক্তি বিশেষে শাসক ও বিরোধী দলের সাক্ষাৎ আরও চরমে ওঠে যখন কিছু বিতর্কিত রাজনৈতিক অতীত থেকে যায়। গত বছর অগাস্ট মাসেই তৃণমূল বিজেপি বচসা ঘিরে ধুন্ধুমার হয়। বাড়ির দরজা ভেঙে বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। যদিও তারপর অনেকজলই গঙ্গা দিয়ে বেরিয়েছে। তাই এরপর স্বাভাবিকভাবেই শাসক-ও বিরোধী নেতার এই সাক্ষাৎ বিতর্ক তুলবে।