কলকাতা: 'পার্থ চোর-কেষ্ট চোর, তৃণমূলের সবাই চোর', ইতিমধ্যেই স্লোগানে ভরিয়েছে শুভেন্দুরা (Suvendu Adhikari) । যার একটা ক্ল্যারিফিকেশন গত ২৯ অগাস্টে তৃণমূলের সমাবেশে দিয়েছিলেন মমতা। তবে শিক্ষক দিবসে বাংলার চাকরি নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে ফের গর্জে উঠলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কে কতটা লোভী হবে, তা ব্যাক্তির উপর নির্ভর করে। ব্যাক্তি মানুষের সততার উপর পুরোটাই নির্ভরশীল। সঙ্গ দোষে কেউ কেউ বিপথে যান, তার জন্য সবার বিরুদ্ধে কুৎসা করা ঠিক নয়, আজ এমনটাই মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।যার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে, মমতাকে পাল্টা প্রশ্নের মুখে ফেললেন রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)।
আমি কতটা পর্যন্ত লোভী হব ? নির্ভর করবে আমার উপরে: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'নৈতিক চরিত্র গঠন, একটা সিলেবাসের উপরে থাকা উচিত।আমি কত টাকার মালিক হলাম, এটা আমার পরিচয় নয়। পয়সা আজ আছে, কাল নেই। ফুরিয়ে যাবে। হ্যাঁ, আপনারা যদি আমায় বলেন, আপনি ১০০ শতাংশ কন্ট্রোল করতে পারবেন ? ভগবান ১০০ শতাংশ কন্ট্রোল করতে পারে ? আমি কে ? আমি তো একটা সাধারণ মানুষ। এগুলি নির্ভর করে নিজেদের উপরে। আমি কতটা পর্যন্ত লোভী হব ? নির্ভর করবে আমার উপরে। দেখুন জগতে সবাই ঠিক হয় না।'
সঙ্গ দোষে কোনও কোনও মানুষের বিচ্যুতি হয়, এটাও ঠিক. কিন্তু শাসকদলের সঙ্গ তো শাসকদলই: শমীক
এনিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, একদম ঠিক কথা বলেছেন। সমাজে ব্যাক্তির গুরুত্ব বা ভূমিকা কখনই অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু প্রশ্ন হল একজন ব্যাক্তির যদি বিচ্যুতি হয়, এব সেই বিচ্যুতি যদি দীর্ঘ ৮ বছর ধরে চলে, তো সেখানে, তার পারিপার্শিক যেসকল মানুষজন থাকেন, সেখানে যে সংগঠন বা সরকার থাকে, তাঁদের কি কোনও ভূমিকা থাকে না ? সঙ্গ দোষে কোনও কোনও মানুষের বিচ্যুতি হয়, এটাও ঠিক। কিন্তু শাসকদলের সঙ্গ তো শাসকদলই। শাসকদলের সঙ্গ তো বিজেপি, বা অন্য কোনও দল নয়। তারমানে সঙ্গটা তৃণমূলের। এবং যে বিচ্যুতিকে প্রশয় দিয়েছে তৃণমূল বছরের পর ধরে বলে এদিন নিশানা করলেন বিজেপি নেতা।
সিপিএম চলে গেলেও, যে অত্যাচার আমাদের সঙ্গে করেছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আরও পড়ুন, 'বাম আমলে এসএসসি-র তালিকা দফতরে দেওয়া হত', মমতার অভিযোগ ওড়ালেন শমীক
অপরদিকে এদিন বাংলার চাকরি নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যু প্রকাশ্যে আসতেই, বামেদের প্রশ্নের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মমতা বলেন, কয়েকটা ছেলে -মেয়ে বসেছিল রাস্তায়, আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল, আমি বলেছিলাম তখন, এদের কয়েকজনকে করে দিন। তখনকার এডুকেশন মিনিস্টার আমাকে বলেছিলেন, যে এদের নাম্বার পারমিট করছে না। আমার আবার একটু দয়ামায়া বেশি। আমি বলেছিলাম, দিন না একটু, করে দিন না, বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়ে কী আর হবে ? তারপরেও, আপারা জানেন অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে, সিপিএম চলে গেলেও, যে অত্যাচার আমাদের সঙ্গে করেছে, আমরা তো কারও চাকরি খাইনি। সিপিএম আমলের একটা কাগজ খুঁজে পানতো আলমারিতে, একটা কাগজও পাবেন না। আমাদের আমলে কাগজ আছে। কাগজ আছে বলেই তো আপনি ভুলটা ধরতে পারছেন।' এরপরেই মুখ্যন্ত্রী হাত মুঠো করে অগ্নিশর্মা হয়ে বলেন,' ওদের আমলে একটাও কাগজ নেই। আমরা খুঁজে পাইনি, আমরা ফাইল পাইনি, আমরা আলমারি পাইনি, আমরা কিছু দেখতে পায়নি।'