কলকাতা: আজ শিক্ষক দিবসে চাকরি ইস্যু (SSC Scam) নিয়ে বামেদের প্রশ্নের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, সিপিএম আমলের একটা কাগজ খুঁজে পানতো আলমারিতে, একটা কাগজও পাবেন না। আমাদের আমলে কাগজ আছে। কাগজ আছে বলেই তো আপনি ভুলটা ধরতে পারছেন।' যদি মুখ্যমন্ত্রী বলার পরপরই উত্তর এল বামদের দিক থেকে। অভিযোগের উইকেট উড়িয়ে পাল্টা আক্রমণ করলেন সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি (Samik Lahiri)।


সিপিএম আমলের একটা কাগজও পাবেন না, আমাদের আমলে কাগজ আছে, তাই আপনি ভুলটা ধরতে পারছেন: মমতা


এদিন মমতা বলেন, সিপিএম আমলের একটা কাগজ খুঁজে পানতো আলমারিতে, একটা কাগজও পাবেন না। আমাদের আমলে কাগজ আছে। কাগজ আছে বলেই তো আপনি ভুলটা ধরতে পারছেন।' এরপরেই মুখ্যন্ত্রী হাত মুঠো করে অগ্নিশর্মা হয়ে বলেন,' ওদের আমলে একটাও কাগজ নেই। আমরা খুঁজে পাইনি, আমরা ফাইল পাইনি, আমরা আলমারি পাইনি, আমরা কিছু দেখতে পায়নি।' আর এই অভিযোগেই জল ঢাল বর্ষীয়ান বাম নেতা।


কোটি কোটি টাকা ধরা পড়বার পর এই কথাটা ওনার মনে হল : সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি


শমীক লাহিড়ি বলেন, 'চাকরির বিনিময়ে টাকা নিয়ে, কোটি কোটি টাকা ধরা পড়বার পর এই কথাটা ওনার মনে হল, ১২ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকার পর ! বামফ্রন্টের সময় স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রতিটি তালিকা ওয়েবসাইটে দেখানো হতো, দফতরে টানানো হতো। এবং সেটা পাবলিকলি বিজ্ঞাপন করা হত। ওরা এসএমএস-র মাধ্যমে পাঠিয়েছে, কেন পাঠিয়েছে ? যাতে টাকা নিয়ে এই চাকরি দেওয়া যায়।'


আমার আবার একটু দয়ামায়া বেশি : মমতা 


অপরদিকে, এদিন তৃণমূল সরকার আসার আগে বাম আমলের কথা মনে করিয়ে মমতা বলেন সবাইকে, 'কয়েকটা ছেলে -মেয়ে বসেছিল রাস্তায়, আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল, আমি বলেছিলাম তখন, এদের কয়েকজনকে করে দিন। তখনকার এডুকেশন মিনিস্টার আমাকে বলেছিলেন, যে এদের নাম্বার পারমিট করছে না। আমার আবার একটু দয়ামায়া বেশি। আমি বলেছিলাম, দিন না একটু, করে দিন না, বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়ে কী আর হবে ? তারপরেও, আপারা জানেন অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে, সিপিএম চলে গেলেও যে, অত্যাচার আমাদের সঙ্গে করেছে, আমরা তো কারও চাকরি খাইনি।'


আরও পড়ুন, 'আমরা কারও চাকরি খাইনি', শিক্ষকদিবসে ক্ষোভ উগরে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


 ওনার এতই দয়া মায়া যে, পনেরো-বিশ লক্ষ টাকা না দিলে তো চাকরি দেন না : শমীক


মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকেই কটাক্ষ করেন শমীক লাহিড়ি বলেন, 'এই যে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে, ওনার এতই দয়া মায়া যে, পনেরো-বিশ লক্ষ টাকা না দিলে তো চাকরি দেন না ! ওনার সরকার তো চাকরি দেয় না। আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্থ একটা সরকার চালাচ্ছেন উনি। এবং তাঁর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। এ আজকে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।এক দু টাকা নয়, হাজার কোটি টাকা লুঠ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। এখন তার মধ্যে কেবলমাত্র হিমশৈল্য-র চূড়াটুকু দেখা গিয়েছে। তাতেই মানুষ বুঝতে পারছে, আমরা যা বলে আসছিলাম গত ১০ বছর ধরে, সেই কথাটা সত্যি। এখন উনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করলে, কোনও মানুষ মেনে নেবে না। মানুষ এখন বলছে, তৃণমূলের সব নেতা মন্ত্রী সব চোর।'