কলকাতা: রাজ্যের শাসকদলকে 'ডিসেম্বর ডেডলাইন' বলে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারী দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন আলিপুর কোর্টের পুলিশ লক আপে ঢোকার মুখে, বিজেপির ডিসেম্বর হুমকি নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'তৃণমূলের কোনও ক্ষতি কেউ করতে পারবে না'। ফের দলের পাশে দাঁড়ালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই প্রতিক্রিয়াকে কীভাবে দেখলেন শাসকদলের শীর্ষ নের্তৃত্ব ও বিরোধীরা ? বক্তব্য বিশ্লেষণ করলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য, সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং কুণাল ঘোষ (Samik Bhattacharya, Sujan Chakraborty and Kunal Ghosh)।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই তৃণমূল এবং তৃণমূলই পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আজকে যে কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযুক্ত, যে কারণে তিনি বিচারাধীন হয়ে জেলে বন্দি, সেটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা ওনার মস্তিষ্ক প্রসূত কোনও পদ্ধতি নয়। ...যেকজনই আজকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে, প্রত্যেকেই কিন্তু বিচারাধীন অবস্থায় আছেন। কেউই বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিত্ব নয়। মানিক ভট্টাচার্য, সুবীরেশ ভট্টাচার্য কিংবা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এদেরই মস্তিষ্ক প্রসূত সংগঠিত অপরাধ নয়। গোটা তৃণমূল কংগ্রেস এর সঙ্গে যুক্ত। তৃণমূলের অনুমোদন নিয়েই এরা এই কাজ করেছিলেন। এবং দল প্রকাশ্যে যাই বলুক না কেন, দল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের সঙ্গে আছেন।'
পাশাপাশি সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'কোথায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং কোথায় শুভেন্দু অধিকারী ! এসমস্ত ধান্দাবাজির পার্টি ! পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, তৃণমূলের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না। তার মানে ওরা যাতে অবাধে লুঠ চালিয়ে যেতে পারেন, এটা পার্থ বাবুদের আগ্রহ।' এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'তাঁর সম্পর্কে দল জানিয়ে দিয়েছে। এটা তাঁর ব্যক্তি স্বাধীনতা। সারা বাংলা যেটা বিশ্বাস করে, তিনি যদি সেই কথাই বলে থাকেন, তার সঙ্গে দল আছে কিনা, না দল নেই, এই কথাগুলি টানাটাই আমার মনে হয়, অপ্রাসঙ্গিক। '
আরও পড়ুন, 'নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েতে ভোটে জিতবে বিজেপিই', কুণালকে কী চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর ?
প্রসঙ্গত, আজ ১২ ডিসেম্বর ( December ) । বিরোধী দলনেতার দেওয়া ৩টি তারিখের প্রথম দিন। গতকালই শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari ) বলেন,' আগামী দিনে অর্থনৈতিক ভাবে আরও দেউলিয়া হবে সরকার। শুধু তাই নয়, দুর্নীতিতে জড়িতরা সবাই জেলে যাবেন।' আর এমন এক গুরুত্বপূর্ণ দিনেই মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আপাতত সবার নজর, এই তিনটে দিনের দিকে! কারণ, ডিসেম্বর-রহস্যে নতুন মাত্রা যোগ করে, এবার একেবারে তারিখ দাগিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী! গত কয়েকমাস ধরেই, বারে বারে ডিসেম্বর নিয়ে নতুন নতুন সব হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ফলে ডিসেম্বর নিয়ে কৌতুহলের পারদও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে! আর এবার তো সরাসরি তারিখও বলে দিয়েছেন তিনি! এই আবহে আজকের দিনটির দিকে তাকিয়ে সকলেই।