কলকাতা:  গুজরাতে ভোটের ( Gujrat Assembly Election )   আগে চমক। গুজরাতের দুই জেলায় আগত ৩ দেশের সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (The Ministry of Home Affairs MHA)।  গুজরাতে আগত পাকিস্তান, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন শান্তনু, সুজনরা  (Santanu Sen , Sujan Chakraborty)। 


তৃণমূল সংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে গুজরাতের একসঙ্গে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার হওয়ার কথা ছিল। শুধুমাত্র একসপ্তাহে ৭০ হাজার কোটি টাকা,  এবং নরেন্দ্র মোদির তিনদিনের সফর চলাকালীন ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, উপঢৌকন দেওয়ার জন্য সেখানে ঘোষণা হল না। নিয়তির পরিহাস সেই সময় আমরা দেখলাম, গুজরাতে একটি সেতু ভেঙে, প্রচুর মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। তাও রাজনীতি থেকে তারা সরে আসতে পারছে না।'


তিনি আরও বলেন, ' আমরা এর আগে দেখেছি সিএএ, এনআরসি নিয়ে বিজেপির যে দ্বৈরথ এবং তাঁদের নিজেদের মধ্যে যে অস্থিরতা, সেটা আমরা লক্ষ্য করেছি।  আড়াই বছর আগে একটি বিল গায়ের জোরে পাশ করানোর পরেও সেটা আজ অবধি ফুল ফ্রেম করতে পারলো না। তারা ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে বিভাজন করার জন্য,  এই সংকীর্ণ রাজনীতির পথে হাঁটছে। তৃণমূল কংগ্রেসের স্ট্য়ান্ড অত্যন্ত পরিষ্কার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, যারা ভারতে দীর্ঘ দিন ধরে আছেন, যারা ভোটার কার্ড নিয়ে ভোট দিয়ে রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্বাচিত করেন, তারা প্রত্যেকে ভারতের নাগরিক। নতুন করে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কোনও প্রশ্ন ওঠে না। 


প্রসঙ্গত,  গুজরাতে আগত পাকিস্তান, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত। আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ারও সিদ্ধান্ত। ৩ দেশ থেকে আসা হিন্দু-শিখ-বৌদ্ধ-জৈন-পারসি-খ্রিষ্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত। ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে এদেশে অন্তত ৫ বছর বসবাসের সময়সীমা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। গুজরাতের জেলা আধিকারিকদের নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়ার অনুমতি দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী এদিন বলেন, 'পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে মোদিজী, গুজরাতের ভোট নিয়ে উনি বড় দুশ্চিন্তায় আছেন।'


আরও পড়ুন, শুভেন্দু গড়ে তৃণমূলের দায়িত্ব এবার কুণালকে


নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯ ( CAA ) আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার  কথা বলে। কিন্তু যেহেতু এই আইনের অধীনে বিধিগুলি এখনও সরকার প্রণয়ন করেনি, তাই এখনও পর্যন্ত কাউকে এর অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়া যায়নি। এমনকি ২০১৬, ১০১৮ এবং ২০২১  সালেও, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA) গুজরাত , ছত্তীসগড়, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের বেশ কয়েকটি জেলার  কালেক্টরদের বৈধ নথিতে ভারতে প্রবেশকারী ছয়টি সম্প্রদায়ের অভিবাসীদের নাগরিকত্ব শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা দেয়।