রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: অন্তর্দেশীয় সেক্স র‌্যাকেটের ( Sex Racket) হদিস। আন্তর্জাতিক যোগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিধান নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক।বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় গেস্ট হাউসে বসে পর্ণগ্রাফি শ্যুটের অভিযোগ। অনলাইন সেক্স ভিডিও এবং বিভিন্ন গেস্ট হাউসে তরুণী পাঠিয়ে সেক্স র‌্যাকেট চালানোর অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মিডিলম্যান নারায়ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


তরুণীদের নিয়ে এসে জোর করে আটকে রেখে ব্যবসা


বাংলাদেশ, নেপাল ও ভিন রাজ্য থেকে তরুণী নিয়ে এসে জোর করে আটকে রেখে এই ব্যবসা চালাতো বলে অভিযোগ। রেস্টুরেন্টে কাজ করার পাশাপাশি  নারায়ণ দাস এই ব্যবসা চালাতো। বড়ো বড়ো মাথার যোগ রয়েছে বলে অভিযোগকারী তরুণীর অভিযোগ। এর পিছনে মূল পান্ডার খোঁজে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। গোটা ঘটনার তদন্তে বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ।তরুণীর অভিযোগ,' ৪  জানুয়ারি কাজের জন্য বিএল ৮২ গেস্ট হাউজে আসি।সেখানে আমাকে থাকতে বলে। আমি সেখানে থাকি। আমি অনুভব করি যে ওখানে হিডেন ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। ওখানে বেআইনি কিছু হচ্ছে। ওখানে যারা আসেন তাঁদের দিয়ে পর্ণ ভিডিওর বিজনেস হচ্ছে। এছাড়া ড্রাগও চলে এখানে। মেয়েদের এমএমএস বানিয়ে লাইভ ভিডিওর ব্রডকাস্ট করা হয়। ট্রিপল এক্স ভিডিওর ও লাইভ ব্রডকাস্টিং হচ্ছে। ছয় সাত দিন থাকার পর নারায়ন দাস আর একটি জায়গায় নিয়ে যায়। ওই গেস্ট হাউজে নিয়ে রাখে।সেখানেও পর্ণ বানানো হয়। শুধু ইন্ডিয়ার মধ্যে নয় ইন্ডিয়ার বাইরেও ওরা ব্রডকাস্টিং করছে এবং পর্ণ বিজনেজ চেন ওয়াইজ চলছে। এর সঙ্গে অনেকেই যুক্ত আছে।'


আরও পড়ুন, আজ আপনার শহরে পেট্রোল-ডিজেলের কী দাম ?


'মেয়েদের অজান্তে পর্ণ ভিডিও'


তিনি অভিযোগ জানিয়ে আরও বলেন, 'নারায়ণ দাস ওটা দেখাশোনা করে এবং  মেয়েদের পরিচালনা করা। এছাড়া আরও অনেকে আছে। তিনটে মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁদের আনা হয়েছিল  দিল্লি, গুরগাঁও, হরিয়ানা থেকে। এবং একজন ছিল ভোজপুরি সিনেমার আইটেম গার্ল। সেখানেই অনেকে আসে তারা ড্রাগ নেয়। আমি কাজের খোঁজে এসেছিলাম। এখানে মেয়েদের অজান্তে পর্ণ ভিডিওর বিজনেস হয়। নারায়ন দাস ছয় সাত দিনের মাথায় অন্য গেস্ট হাউসে নিয়ে যায়। সেখানে  অনেকেই ওদের চেনাশোনা আসতো। তার মধ্যে দুজন ভিডিও কল করে। একটা লন্ডনে, একটা বাংলাদেশে। আমাকে ইন্ট্রিডিউজ করে দেয়। ১ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ করি পূর্ব থানায়। আমি চাইছি যাদের নাম অভিযোগ পত্রে সাবমিট করেছি তারা গ্রেফতার হোক। এছাড়া আরও যারা বড়ো বড়ো মাথা যুক্ত আছে কারণ চেন ওয়াইজ এই  ব্যবসা চলছে পাস্টিটিউশন, ড্র্যাগ এবং পর্ণ বিজনেস সব বন্ধ হোক।' অভিযোগ জানানোর পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। সেখানে হানা দিয়ে নারায়ন দাসকে গ্রেফতার করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিধান নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ।