কলকাতা: আগামী ১০ মার্চ বিধানসভা অভিযানের ডাক দিল সিপিএম-এর ছাত্র সংগঠন এসএফআই (SFI)। মূলত, রাজ্যে বন্ধ স্কুল খোলা পাশাপাশি অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, আনিস ইস্যু-সহ তিন দফা দাবি সামনে রেখে বিধানসভা অভিযানের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 


অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি-সহ ৩


প্রথমত, রাজ্যে ৮ হাজার বন্ধ স্কুল খোলার দাবি জানাবে এসএফআই। দ্বিতীয়ত, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানানো হবে। তৃতীয়ত, আনিস খানের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি দাবি জানাবে এসএফআই। শিক্ষামন্ত্রী এবং বিধানসভার অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দেওয়ার দাবি নিয়েই এই বিধানসভা অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১০ মার্চ ধর্মঘট ডেকেছেন ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা। আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের ধর্মঘটকেও সমর্থন জানাচ্ছে এসএফআই।


প্রসঙ্গত, গত মাসের মাঝামাঝি,  কলেজ (College)-বিশ্ববিদ্যালয়ে (University) ছাত্র সংসদ নির্বাচনের এসএফআইয়ের (SFI) মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে (College Street Sampus) ঢোকার মুখে পুলিশের (Police) সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। গেট ভাঙেন SFI কর্মী-সমর্থকরা। হাতে হাতে ঝান্ডা। মুখে মুখে স্লোগান। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এসএফআইয়ের মিছিল ঘিরে কলেজ স্ট্রিটে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।          


মূলত দেখতে দেখতে ৬ বছর হয়ে গেল। রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। ৩ বছর ধরে ছাত্র ভোট হয়নি যাদবপুর-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই প্রেক্ষাপটে দ্রুত ছাত্র ভোট করানোর দাবিতে গতমাসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অভিযানের ডাক দেয় এসএফআই। রাজাবাজার থেকে মিছিল শুরু হয়ে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে ঢোকার মুখে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায়।  


আরও পড়ুন, 'বীরভূমের দায়িত্ব নিতে আমি রাজি', অনুব্রত ইস্যুতে মন্তব্য মদনের


বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ডেপুটেশন দিয়ে অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি জানায় SFI নেতৃত্ব। তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, 'দাবি দাওয়া থাকতেই পারে। তা বলে কলেজের গেট ভেঙে দেওয়া। এতো সিপিএমের যে কালচার আমরা দেখে এসেছি, পরবর্তী প্রজন্মও যদি তাই করে তবে মানুষ কি করবে? ক্যাম্পাসের বাইরের লোক ঢুকে যাওয়া তো ঠিক নয়। সরকারও নির্বাচন চাই।' এই অভিযানের প্রচার ঘিরে এসএফআইয়ের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে টিএমসিপির বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে কলেজ স্ট্রিটে অবরোধ করে এসএফআই।