কলকাতা: শহরে রক্তদান শিবিরের নামে ১০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছিল এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে। যার জেরে গতকালই মুচিপাড়ার স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মুচিপাড়া এলাকায়। আর সেই ঘটনা ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই, গিরিশ পার্কে নাবালককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ দোকানির বিরুদ্ধে (Murder Case)। আর এখানেও খুনের কারণটা প্রকাশ্যে আসতেই কার্যতই শিহরণ জাগাল শহরবাসীকে।


ক্রেতাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ বিক্রেতার বিরুদ্ধে


জানা গিয়েছে, গুটখার দাম নিয়ে বচসা জেরে, ক্রেতাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে বিক্রেতার বিরুদ্ধে। গিরিশ পার্কে নাবালককে পিটিয়ে খুনের  অভিযোগে অভিযুক্ত দোকানি।মৃতের পরিবারের অভিযোগ, 'গুটখার দাম বেশি নেওয়ায় প্রতিবাদ করেছিল নাবালক। বচসা চলাকালীন নাবালককে মারধর দোকান মালিকের', লোহার শাটারে মাথা ঠুকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।  বাধা দিলে মৃতের দাদাকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তবে খুনের অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও অধরা অভিযুক্ত।


পিটিয়ে খুনের আরও ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে এই রাজ্যে


পিটিয়ে খুনের আরও ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে রাজ্যে। জুন মাসে  বাইকে গাড়ির ধাক্কার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাবালক সন্তানের সামনে গাড়ির চালককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল (Beaten to Death)। প্রতিবাদে বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। জ্বলেছিল আগুন। এশিয়ান হাইওয়েতে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয়েছিল। রণক্ষেত্র নকশালবাড়ি (Naxalbaru)। পুলিশ ও প্রশাসন গিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছিল পরিস্থিতি। 


ছেলের সামনেই সুনীলকে বেধড়ক মারধর


স্থানীয় সূত্রে খবর, নাবালক ছেলেকে নিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন নাকশালবাড়ির বিজয়নগরের বাসিন্দা সুনীল নাগাসিয়া (৩৯)। মুড়িবস্তির কাছে একটি বাইককের সঙ্গে ধাক্কা লাগে গাড়ির। শুরু হয়েছিল বচসা। অভিযোগ, ছেলের সামনেই সুনীলকে বেধড়ক মারধর করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। পরে বিজয়নগরের বাসিন্দারা খবর পেয়ে সুনীলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন চিকিৎসকরা।


আরও পড়ুন, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাস্তায় বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী, বললেন..


চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ


এর আগে হুগলির (Hooghly) সাহাগঞ্জে সাইকেল চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। ডানলপ (Dunlop) কারখানার আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছিল হাঁটু মোড়া অবস্থায় হাত বাঁধা দেহ। খুনের অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। মূল অভিযুক্ত পলাতক।