অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: পুজো (Durga Pujo) মানে শুধু ঠাকুর দেখা নয়, পুজো মানে পেটপুজো। রাস্তার দোকান হোক বা কেবিন, রেস্তোরাঁ- সব জায়গাতেই পেটপুজোর আয়োজন। কিন্তু কোথাও কি ভিড়ের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে খারাপ খাবার, অথবা ভাল করে রান্না না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে? রান্নায় সঠিক উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে তো?                             


বাঙালি মানেই ভোজন রসিক। পুজোর কটা দিন জমিয়ে খাওয়া দাওয়া না করলে পুজো কিন্তু সম্পূর্ণ হয় না।পুজোর কদিন জমিয়ে পেট পুজো আর পুজো প্রেম। টুকরো টুকরো কিছু মুহূর্ত নিয়ে একবছরের মত স্মৃতিবন্দি করে বাঙালি। মাংস, লুচি, ইলিশ, বিরিয়ানি, কবিরাজি, খিচুড়ি এগুলো তো থাকেই। তবে প্যান্ডেল হপিংয়ে গিয়ে স্ট্রিট ফুড না খেলেও কিন্তু পেটের পুজো সম্পূর্ণ হবে না।


কলকাতাকে স্ট্রিট ফুডের হাব বলা যায়। হেন কোনও খাওয়ার নেই যা কলকাতার রাজপথে খুঁজলে পাওয়া যাবে না। পুজোর সময় হোটেল, রেস্তোরাঁ জুড়ে চরম ভিড়ের চাপ থাকে। তাই এই ভিড় এড়িয়ে গিয়ে রাস্তাতেই স্ট্রিট ফুড খেয়ে রাত্রের ডিনারটা সেরেই ফেলতে পারেন। কিন্তু সেই খাবারে যদি দেখেন 'অনিয়ম', সেক্ষেত্রে অভিযোগও করতে পারবেন। 


খতিয়ে দেখতে, বুধবার শহরের রাস্তায় নামলেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ। 


আরও পড়ুন, 'যা দেবী সর্বভূতেষু দয়ারূপেন সংস্থিতা', নবরাত্রির পঞ্চম দিনে স্কন্দমাতা রূপে পূজিতা দেবী


পুজোর ভিড়ের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোনও রেস্তোরাঁ বা রাস্তার দোকানে খারাপ খাবার দিলে অভিযোগ জানানো যাবে কলকাতা পুরসভায়। অভিয়োগ খতিয়ে দেখে নেওয়া হবে ব্যবস্থা। আশ্বাস ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের।                               



রান্নায় Food Safety and Standards Authority of India বা FSSAI- স্বীকৃত উপকরণ ব্যবহার না করায় সতর্ক করা হয় গোলপার্কের একটি স্ট্রিট ফুডের দোকানকে। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও খাবার যেন খারাপ তেলে রান্না না করা হয়। অর্ধসেদ্ধ খাবার নিয়েও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। কোনও উপভোক্তা মনে করলে খাবারের গুণগত মান নিয়ে কলকাতা পুরসভায় অভিযোগও জানাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ডেপুটি মেয়র।