কলকাতা:  শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) গতকাল এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattcharya) গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI) ।  এদিকে তারই মধ্যেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে 'নথি জ্বালানোর' ইস্যু তুলে টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এবিষয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।


এদিন সুকান্ত টুইটারে বলেন, 'উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতের অন্ধকারে নথি জ্বালাতে দেখা যাচ্ছে কিছু ব্যক্তিকে। এই নথি জ্বালানোর উদ্দেশ্য কী কীসের তথ্য গোপন করতে কী কী নথি জ্বালিয়ে ফেলা হল উপস্থিত ব্যাক্তিদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া উপাচার্যও নেই তো? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যায়। ঘটনার তদন্ত দাবি করছি।' পাশাপাশি টুইটারে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল সরকারের হাতে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। এত লজ্জা বাঙালি রাখবে কোথায় ?' 






 গতকাল গ্রেফতার হয়েছেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য।  কারণ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় , শান্তিপ্রসাদ, অশোক সাহা। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের গ্রেফতার। স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। আর এমনই একমুহূর্তে সুকান্ত-র শেয়ার করা ভিডিও ঘিরে বিতর্কের ঝড় রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনার পর ইতিমধ্যেই সরব বাম-বিজেপি। গতকাল এই ইস্যুতে তোপ দেগেছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। আর তার পরপরেই নিশানা দিলীপ সুকান্তদের।


আরও পড়ুন, 'দুর্নীতির পুরস্কার কি উপাচার্য পদ ?', সুবীরেশ গ্রেফতার হতেই বিস্ফোরক দিলীপ-সুকান্ত


 প্রসঙ্গত,গত মাসেই শিলিগুড়িতে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতেও যায় সিবিআই।  এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য বাড়িতে অভিযান চালায় ১০ জনের সিবিআই প্রতিনিধি দল। সেসময় প্রকাশ্যে আসে, বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম ছিল এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যানের। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের রিপোর্টে বলা হয় যে, এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ করা উচিত। বাগ কমিটির রিপোর্টে আরও বলা হয় যে, কমিশনের প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্য জানিয়েছেন, 'কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তিনি যেনও আঞ্চলিক কমিশনের চেয়ারম্যানদের সই সংগ্রহ করে স্ক্যান করেন। এবং সেই স্ক্যান করা সই কমিশনের অ্যাপ্লিকেশন সার্ভারে সংরক্ষণ করেন, যাতে পরবর্তীকালে সেই সইগুলো গ্রুপ-ডি পদের সুপারিশপত্র তৈরিতে ব্যবহার করা যায়।'