কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) গতকাল এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattcharya) গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI) ।  এদিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় , শান্তিপ্রসাদ, অশোক সাহা। বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁশদ্রোণীর বাড়িতে দফায় দফায় অভিযানের পরেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই ইস্যুতে এবার সোশ্যালমিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ,  বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।









টুটারে দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন,  'দুর্নীতির পুরস্কার স্বরূপ কি উপাচার্য পদ লাভ করেন সুবীরেশ ? পাশাপাশি তিনি বলেন, মমতার সরকার রাজ্যের প্রায় ২৫ বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরদের অনিয়মিতভাবে নিয়োগ এবং মেয়াদ বাড়িয়েছে। এটা কি তৃণমূলের সরকারকে দুর্নীতির সুবিধার জন্য দেওয়া হয়েছিল ?' শাসকদলকে এভাবেই নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল সরকারের হাতে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। এত লজ্জা বাঙালি রাখবে কোথায় ?


প্রসঙ্গত, গত মাসেই শিলিগুড়িতে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতেও যায় সিবিআই।  এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য বাড়িতে অভিযান চালায় ১০ জনের সিবিআই প্রতিনিধি দল। সেসময় প্রকাশ্যে আসে, বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম ছিল এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যানের। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের রিপোর্টে বলা হয় যে, এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ করা উচিত। বাগ কমিটির রিপোর্টে আরও বলা হয় যে, কমিশনের প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্য জানিয়েছেন, 'কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তিনি যেনও আঞ্চলিক কমিশনের চেয়ারম্যানদের সই সংগ্রহ করে স্ক্যান করেন। এবং সেই স্ক্যান করা সই কমিশনের অ্যাপ্লিকেশন সার্ভারে সংরক্ষণ করেন, যাতে পরবর্তীকালে সেই সইগুলো গ্রুপ-ডি পদের সুপারিশপত্র তৈরিতে ব্যবহার করা যায়।'


আরও পড়ুন, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইডি-র চার্জশিটে নাম থাকছে পার্থ, অর্পিতা-র


নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে তিন অভিযুক্ত-পার্থ, কল্যাণময়, এস পি সিন্হা।  সিবিআই সূত্রের খবর, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি কারা নিয়ন্ত্রণ করত, তাতে পার্থর কী ভূমিকা ছিল, তা বিশদে জানতে চাওয়া হবে পার্থর কাছে, আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও পার্থর দাবি, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। কমিটি গঠনের ফাইলে সই করেছিলেন মাত্র। কিন্তু গোয়েন্দাদের প্রশ্ন, তিনি না জানলে, কারা জানত। এই সব প্রশ্ন উঠছেই। সূত্রের খবর,  টাকার লেনদেন ও প্রভাবশালী যোগের সন্ধান পেতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে আলাদা আলাদা ভাবে জেরা করা হয়। সিবিআইয়ের দাবি, পার্থ তথ্য গোপন করছেন। দুর্নীতির দায় এড়িয়েছেন কল্যাণময়ও। সিবিআই সূত্রে দাবি, পার্থ নিয়োগ দুর্নীতি-যোগ অস্বীকার করলেও, তথ্যপ্রমাণ বলছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সরাসরি যোগ রয়েছে।