অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: পহেলগাঁও হত্যায় জবাবে অপারেশন সিঁদুরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল সুখোই যুদ্ধবিমান। এবার, কলকাতার ইসকনের রথে ব্যবহৃত হল সেই যুদ্ধবিমানের চাকা। রথযাত্রার আগে যুদ্ধবিমান সুখোইয়ের ‘ফোর্থ জেনারেশন’-এর চাকা নিয়ে গড়াল কলকাতার ইসকনের রথ। আগামী ২৭ জুনও সেই চাকার ভরেই কলকাতা জুড়ে ঘুরবেন জগন্নাথ দেব।

শনিবার, এই চাকা লাগানোর পর প্রায় ২৪ কিলোমিটার পথে ট্রায়ালও দিয়েছে জগন্নাথ দেবের রথ। কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস বলেন, 'অবশ্যই সুখোই বলে আনা হয়নি, ঠাকুরের ইচ্ছা ছিল বলেই সবটা সম্ভব হয়েছে'। 

সুখোই হল সুপারসনিক ফাইটার জেট। ভারতীয় বায়ুসেনার গর্ব। কলকাতা ইসকন সূত্রে খবর, ৪৮ বছর আগের এক রথযাত্রায় মাঝরাস্তায় চাকা ভেঙে যায়। ফলে গাড়ি করে মাসির বাড়ি নিয়ে যেতে হয় জগন্নাথকে। তারপরই বোয়িং ৭৪৭-এর বিমানের চাকা লাগানো হয় কলকাতা ইসকনের রথে। ওই চাকা তৈরি করত ডানলপ। প্রায় ৪৮ বছর পরিষেবা দিয়েছে সেই চাকা। কয়েক দশক পর চাকার ক্ষয়ক্ষতি নজরে আসতে শুরু করে। সেই মতো, বিকল্পের খোঁজে মাঠে নামে ইসকন কর্তৃপক্ষ।

সেই মতো লাগানো হয় MRF-এর তৈরি যুদ্ধবিমান সুখোই-৩০ এর চাকা। পহেলগাঁও হত্যার প্রত্যাঘাতে ভারতের 'অপারেশন সিঁদুরে'এও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিল এই সুখোই যুদ্ধবিমান। এবারের অপারেশন সিঁদুরেও এই সুখোই বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই চাকাই এবার রথে লাগল। ২৭ জুন সেই সুখোইয়ের চাকা নিয়েই কলকাতা জুড়ে ঘুরবেন জগন্নাথ দেব।                                       

কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস জানান যে,  ইসকন কলকাতা যখন তাদের প্রয়োজনীয়তার কথা প্রথম জানায়, তখন এমআরএফ কর্তৃপক্ষ কীভাবে অবাক হয়ে যায়। তাঁদের তরফে বলা হয়, এই টায়ারের জন্য একমাত্র ক্লায়েন্ট হল ভারতীয় বিমান বাহিনী। এমআরএফ তাদের আশ্বস্ত করেছে যে তাদের টায়ারের পর্যাপ্ত ওজন বহন ক্ষমতা রয়েছে। চারটি টায়ারের দাম ছিল মোট ১.৮০ লক্ষ টাকা।