কলকাতা: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল-যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ট্য়ুইটে বেশ কয়েকটি সম্পত্তি হস্তান্তরের চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তিনি। পাল্টা, জবাব দিয়েছে তৃণমূলও (TMC)।



বালিগঞ্জে প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় কয়লা পাচার-যোগের তত্ত্ব সামনে এসেছে। নাম জড়িয়েছে কলকাতার ২ ব্যবসায়ীর। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই গজরাজ গ্রুপের কর্ণধার বিক্রম সাকারিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। আগামী বুধবার, নথি-সহ দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে, গেস্ট হাউসের ক্রেতা ও ধাবা ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালকে। এই প্রেক্ষাপটেই মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল-যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের ছবি। আগেই প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এবার ট্যুইটারেই একটি ছবি প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাতে বেশ কিছু নাম, দলিল ও জমি হস্তান্তরের দাবি করে লেখা হয়েছে।



 
উল্লেখ্য, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে, হরিশ মুখার্জি রোডের ২০৪ নম্বর প্লটে যে সম্পত্তি কেনা হয়েছে, তার প্রস্তাবিত মূল্য ১ কোটি ৮৯ লক্ষ ৩০ হাজার ১ টাকা। ডিড নম্বর ০৭০৭৭/২০১০। বিক্রেতার নাম মায়া সেন, ইন্দ্রজিৎ সেন এবং শুভ্রা মিত্র। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি এবং মনজিৎ সিং। দ্বিতীয় সম্পত্তির ঠিকানা, ১৩৫-এ, হরিশ মুখার্জি রোড। প্রস্তাবিত মূল্য ১৯ লক্ষ ৬০ হাজার ৩ টাকা। ডিড নম্বর ০৫২২৪/২০১৬। বিক্রেতার নাম তন্ময় সরকার। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি এবং দলজিৎ কউর। ১৭ টার্ফ রোডে, তৃতীয় সম্পত্তির প্রস্তাবিত মূল্য ১৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮২৫ টাকা। ডিড নম্বর, ০৫৫৪৫/২০১৭। বিক্রেতা মহম্মদ রফি খোন্দকার অলিউল ইসলাম। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি, মনজিৎ সিং এবং অমরজিৎ সিং।
 


আরও পড়ুন, শুভেন্দুর সভায় যাওয়ার অপরাধে নেতাকে 'বেধড়ক মার'


আর এই দাবি সামনে রেখে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটারে লিখেছেন, 'সিজারের স্ত্রীকে সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে', কিন্তু তার সঙ্গে কার্তিক-জায়াকেও রেহাই দিতে হবে। শুধুমাত্র তিনি সম্রাজ্ঞীর আত্মীয় বা তোলামূল কাউন্সিলর বলে? ''কে জানি না'' থেকে শুরু করে ''হিন্দি সেলের নেতা'', তারপর ''শুধুই পরিচিত'' থেকে ''পুরনো বন্ধু'' আর এখন ''ব্যবসায়িক সঙ্গী'' থেকে ''অপরাধের সঙ্গী''? কালীঘাটের কাকু, পিসি, ভাইপো, কাকিমা, বউমা, শ্যালিকা - সবাই একই ধাঁধার অংশ। পৃথকভাবে কেউ দোষী নন, অথচ সবাই একসূত্রে গাঁথা। কয়লা যতোই ধোঁয়া হোক, তা কালোই থাকবে। ঠিক তোমাদের ভবিষ্যতের মতো।