কলকাতাঃ রাজ্যের নতুন মন্ত্রীদের শপথ গ্রহনের দিনেই বিধানসভার বাইরে বিস্ফোরক বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি এদিন বলেন, 'উদয়ন গুহ এবং পার্থ ভৌমিক,  এমন দুজনকে পূর্ণমন্ত্রী করেছে। এরা সরাসরি ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) অভিযুক্ত।'


শুভেন্দু এদিন বলেন,' আপনারা জানেন যে,   শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আগে ডাকতো না। সম্প্রতি ডাকা শুরু হয়েছে। মুখ্যসচিব কার্ড দিয়েছিলেন। আমি এজন্য ধন্যবাদ জানাবো। আমার যেতেও কোনও আপত্তি ছিল না। মন্ত্রিসভার তালিকাটা দেখছিলাম। তাতে  ভারতীয় জনতা পার্টি, বিশেষ করে সনাতনী হিন্দুদের উপরে ভোটের পরে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য, যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন, এমন দুজনকে পূর্ণমন্ত্রী করেছে।উদয়ন গুহ এবং পার্থ ভৌমিককে। এরা সরাসরি ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযোগে অভিযুক্ত। এবং নির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। এবং আপনারা জানেন, এনএইচআরসি, হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে যাদের নাম জমা পড়েছিল, তাঁদের মধ্যে এই দুজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী আছে।এখন ওখানে গিয়ে তো এগুলি আর বলা যেত না, নমষ্কার করতে হতো। হাসি মুখ রাখতে হত। সনাতনীরা খুব আঘাত পেতেন, তাই যায়নি।'


অপরদিকে, তিনি এদিন বলেন, 'বাস্তব অনুভূতিটা অনুধাবন আমার আছে। এবং লেটেস্ট যে অর্থ দফতরের সার্কুলার, তাতে কোভিডের বিধি নিষেধ উঠে যাওয়ার পরেও পশ্চিমবঙ্গ যেহেতু আর্থিকভাবে দেউলিয়া। এবং এখানে টোল বিতরণই হচ্ছে একমাত্র পথ, মহৎ লক্ষ্য। এবং সাথে তুষ্টিকরণ-তোষণ। তাই পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীদের ক্ষমতা খর্ব করে অর্থ দফতর দশ লাগে আগে ছিল, এখন দেড় লাখ করে দিয়েছে। অতয়েব দেড়লাখি মন্ত্রী এরা।  আমি মনে করি এর থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বা ১০০ দিনের সুপারভাইজার, তাঁদের কাজ করার ক্ষমতা এবং বরাদ্দকৃত অর্থ অনেক বেশি।'


আরও পড়ুন,মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে কাজ করতে চাই: বীরবাহা হাঁসদা


প্রসঙ্গত, এদিন বিকেল ৪ টে বাজার সঙ্গে সঙ্গেই শপথ গ্রহণ করা শুরু করালেন ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশন (Governor)। রাজ্য মন্ত্রিসভায় নতুন ৮ জন মন্ত্রীর অন্তর্ভুক্তি। পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বাবুল সুপ্রিয়, উদয়ন গুহ,স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং প্রদীপ মজুমদার। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হলেন বীরবাহা হাঁসদা এবং বিপ্লব রায়চৗধুরী। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সত্যজিত্‍ বর্মন এবং তাজমুল হোসেন। নতুন মন্ত্রীদের শপথগ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল লা গণেশন।