কলকাতাঃ অনুব্রত-কে 'গরুচোর' বলে বিদ্রুপের পর এবার বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ খুললেন সুজন চক্রবর্তীও (Sujan Chakraborty)। তবে ঘাসফুল, গেরুয়া কাউকেই তোপ দাগতে ছাড়েননি তিনি। তবে বিজেপি বিয়োগের পর, এদিন অন্য সুর শাসকদলের আরেক হেভিওয়েটের।    


কলকাতা থেকে শুরু করে অনুব্রত হয়ে মুর্শিদাবাদের প্রায় সমস্ত নেতাই যুক্ত: শুভেন্দু অধিকারী


শুভেন্দু এদিন বলেন,' কয়েক বছর ধরে গরুপাচার হয়েছে। যার কিংপিন এনামূল ইডি হেফাজতে রয়েছে। তার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের , শাসকদলের একেবারে কলকাতা থেকে শুরু করে অনুব্রত হয়ে মুর্শিদাবাদের প্রায় সমস্ত নেতাই যুক্ত। শুধু নেতা নয়, বিভিন্ন থানার ইন্সপেক্টররা, ডিআইজি, আইজি পর্যন্ত, এদের বিরাট র‍্যাকেট কাজ করছে।' মূলত রাজ্যের শাসকদলের এই হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মন্ডলের উপরে ঝুলছে গরুপাচার মামলার তদন্ত। নাম জড়ানোর পর এখন অবধি অসংখ্য বার তিনি ইডি-সিবিআই-র হাজিরা এড়িয়েছেন। কখনও বীরভূমের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসানসোল হয়ে কলকাতা আসার পথে নিজাম প্যালেসের গা ঘেষে বেরিয়ে যান তিনি। এর আগে সিবিআই তলবের পর বুকে হাত দিয়ে তাঁকে বেরোতে দেখা গিয়েছে। তারপর সোজা গিয়ে ভর্তি হয়েছেন  এসএসকেএম-এ। তবে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় তলব এড়িয়ে কিছুতেই যাতে এসএসকেম-এ না যেতে পারেন, তার জন্য পার্থ ইস্যুতে আগেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সিবিআই। তারপরেই এসএসকেএম-র উডবার্ণ-এ এখন আর চাইলেই ভর্তি হওয়া যাবে না, স্পষ্ট বলে জানায় হাইকোর্ট। আর এবার তাই চেয়েও আর এসএসকেএম-এ ভর্তি হওয়া গেল না অনুব্রত-র। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল। যদিও অসুস্থতার জন্য হাজিরা দিতে পারবো না বলেই জানিয়েছেন অনুব্রত।


কোমরে দড়ি বেঁধে টেনে সিবিআই দফতরে নিয়ে আসা উচিত: সুজন চক্রবর্তী


এদিন পাশাপাশি কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, 'কোমরে দড়ি বেঁধে টেনে সিবিআই দফতরে নিয়ে আসা উচিত। কী করছে সিবিআই আধিকারিকরা ? আমরা দেখেছি তো দিল্লিতে চিদাম্বরমের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন।এখানে কী হচ্ছে ? অপরদিকে, জয়প্রকাশ মজুমদার এদিন বলেন, যে কোনও লোকই, তার যদি কোনও অসুবিধা হয়, হাসপাতালে যাবেন, দেখাবেন। আবার তলব হলে , তিনি কবে দেখা করবেন বা কী,  সো অনুব্রত মণ্ডলের নিজেই ঠিক করা উচিত। এবং করবেন নিশ্চয়। আমরা দেখেছি, উনি গেছেন সিবিআই-র কাছে, এবং দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছেন এরই মধ্যে।'