কলকাতা:  ত্রিপুরায় মমতা- অভিষেকের রোড শো-র দিনেই মোক্ষম খোঁচা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) । মূলত সামনেই আগামী ১৬ ফেব্রয়ারি বিধানসভা নির্বাচন। ৬০ আসনের ত্রিপুরায় ২৮ টিতে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল।  বিধানসভা নির্বাচনের আগেই জোর প্রস্তুতি ঘাসফুল শিবিরের। ৫ কিমি রাস্তাজুড়ে এদিন রোড শো-র কর্মসূচি অভিষেক ও মমতার। এদিকে গতকালই গতকাল জোড়া নির্বাচনী সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটাও শব্দ খরচ করেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুধুই বাম এবং কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন তিনি। যা নিয়ে ফের আঁতাঁতের অভিযোগে সরব হয়েছে সিপিএম। প্রত্য়াশিতভাবেই তৃণমূল-বিজেপি কেউই এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তবে এই ইস্যুকেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, যে শাহ তৃণমূলের নামই মুখে আনেননি।আর এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, 'ত্রিপুরায় নোটার থেকেও কম ভোট পাবে তৃণমূল (TMC)।' ওদের ধর্তব্যের মধ্যেই আনা যায় না বলেই দাবি বিরোধী দলনেতার।


ত্রিপুরায় পুরোদমে শুরু আসন্ন বিধানসভার ভোট প্রচার। ভোট প্রচারের জন্য সোমবারই উত্তর পূর্বের রাজ্যটিতে পা রেখেছেন দুই তাব়ড় রাজনীতিবিদ। একদিকে ত্রিপুরা পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার অন্যদিকে ত্রিপুরা পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন আগরতলার অলিগলিতে ঘুরে বেরিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেছেন সাধারণ লোকেদের সঙ্গে। তাঁকে দেখা গিয়েছে শিঙাড়া তৈরি করতে, পান সাজাতেও হাত লাগিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে সোমবারই ত্রিপুরাতে জোড়া জনসভা করেছেন অমিত শাহ। সেই জনসভায় তাঁর বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এদিন অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যে আগাগোড়া নিশানা করেছেন সিপিএম-কে। তার সঙ্গে তুলোধনা করেছেন কংগ্রেসকেও। কিন্তু কোনও নির্বাচনী সভা থেকেই একটাও শব্দ খরচ করলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে আঁতাঁতের অভিযোগে সরব হয়েছে সিপিএম। বিধানসভা ভোটের প্রচারে আজ ত্রিপুরায় সভা করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নির্বাচনী সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটাও শব্দ খরচ করননি অমিত শাহ। আক্রমণ করেন শুধুই বাম এবং কংগ্রেসকে। যা নিয়ে ফের আঁতাঁতের অভিযোগে সরব হয়েছে সিপিএম।


আরও পড়ুন, তৃণমূল নেতাদের 'জুতো মারা'-র নিদান বিজেপি বিধায়কের


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, 'কমিউনিস্ট পার্টি বিজেপির সঙ্গে একা লড়ে জিততে পারবে না, তাই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট। মথার সঙ্গে গুপ্ত জোট বেঁধেছে। মথাকে ভোট দেওয়া মানে বামেদের ভোট। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে, বামেদের ভোট।' তিনি আরও বলেন,' বামেদের ভোট দেওয়া মানে ফের হিংসায় ডুববে ত্রিপুরা। আপনারা বলুন, ফের ত্রিপুরায় হিংসা চান? .....বিজেপিকে ভোট মানে মোদিজিকে ভোট, বিকাশকে ভোট, ত্রিপুরার উন্নয়নকে ভোট।' একই দিনে ত্রিপুরায় তৃণমূল-বিজেপির হেভিওয়েটরা। সোমবার উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য়ে পা রাখলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। আর সেদিনই এখানে জোড়া সভা করলেন অমিত শাহ। দুটি সভা থেকেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু নিশানা করেছেন বাম আর কংগ্রেসকে। তাঁর মুখে শোনা গেল না তৃণমূলের নাম। গতবছর পুরভোটের আগে ত্রিপুরায় তৎপরতা বাড়িয়েছিল তৃণমূল। ৩৩৪টি আসনের মধ্যে ৫৯টিতে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল তারা। এবার বিধানসভা ভোটের আগে সেখানে পৌঁছে গেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। মঙ্গলবার সেখানে কর্মসূচিও রয়েছে তাঁরা। কিন্তু, তার মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে, দু-দুটি সভা করেও তৃণমূলের নাম অমিত শাহ মুখেই আনলেন না কেন? সেই প্রশ্ন তুলেই ফের সেটিংয়ের অভিযোগে সুর চড়িয়েছে সিপিএম।