অনির্বাণ বিশ্বাস, সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, হিন্দোল দে, সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা : সোমবার রাতে ৫ ঘণ্টার টানা বৃষ্টি। তার জেরে এখনও জল যন্ত্রণায় ভুগছেন শহরবাসী। অনেক জায়গায় জল নেমে গেলেও, এখনও বহু এলাকা জলমগ্ন। তার মধ্যে কিছু এলাকায় জল বের করার প্রক্রিয়া চলছে। কোথাও হাঁটুজল, কোথাও বা ডুবছে গোড়ালি। আনন্দ পালিত রোডে জমে রয়েছে জল। একটি হোটেলের এক তলায় জমা জল পাম্প চালিয়ে বের করার প্রক্রিয়া চলছে। হোটেলের রিসেপশনে রাখা সোফা উঁচুতে তোলা হয়েছে। পুরো একতলা জলমগ্ন। সিআইটি রোডের একটা বড় অংশে জমে রয়েছে জল। রাস্তার একদিন দিয়ে চলেছে যান চলাচল। বেলা বাড়লে অফিস টাইমে তীব্র যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ভোগে নাকাল হতে পারেন নিত্যযাত্রীরা। ওই এলাকার একটি দুর্গা পুজোর প্যান্ডেলেও ঢুকে গিয়েছে জল। পটারি রোড এবং সিআইটি রোডে যাওয়ার অংশে এখনও বেশ অনেকটাই জল জমে রয়েছে। তবে স্থানীয়দের কথায়, গতকাল আরও জল ছিল। আজ অনেকটাই কমেছে। কিন্তু তাতেও প্রচুর জল রাস্তায়। ভিতরের দিকের রাস্তায় জলের পরিমাণ তুলনায় বেশি। সেখান থেকে মেন রোডে আসার একমাত্র মাধ্যম এখন রিকশা। জল নামতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে পুরসভার কর্মীদের তরফে।
উত্তর কলকাতা ঠনঠনিয়া এলাকাতেও এখনও জমে রয়েছে বেশ অনেকটা জল। ট্রাম লাইন রয়েছে জলের নীচে। জল জমেছে সুকিয়া স্ট্রিটে। একধিক দোকানের ভিতর দেখা গিয়েছে জল থইথই অবস্থা। এছাড়াও জল জমেছে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকায়। বৃষ্টি থেমে রোদ উঠলেও জলমগ্ন মূল রাস্তার অনেকটা অংশ। নিউ গড়িয়ার আবাসনের ভিতরেও জমে রয়েছে জল। এখনও শহরের অনেক রাস্তার পাশেই দেখা গিয়েছে গাড়ি ডুবে রয়েছে জলের নীচে। পাটুলি এলাকাতেও দেখা গিয়েছে জলমগ্ন রাস্তা। জমা জলে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। নাজেহাল নিত্য যাত্রীরা। বাইপাসের ধারে টেগোর পার্ক এলাকাতেও বেশ অনেকটা জায়গা জুড়ে জমে রয়েছে জল। কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত পুজো চালতাবাগানের। সেখানেও দেখা গিয়েছে জলমগ্ন রাস্তা। চালতাবাগানের প্যান্ডেলের ভিতর কার্যত বইছে জলের স্রোত। কলকাতার একাধিক পুজো প্যান্ডেলের ভিতর জল এখনও জমে রয়েছে। জমা জলে দুর্ভোগে বাইপাসের ধারে ভিআইপি বাজারের বাসিন্দারা। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এদিকে আবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে আরও দুর্যোগ এবং দুর্ভোগের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।