কলকাতাঃ অনুব্রতকে (TMC Leader Anubrata Mandal) কেন গরুচোর বললেন, বোঝালেন বিদ্রুপকারী। মূলত এসএসকেএম থেকে শারীরিক পরীক্ষা শেষে বাইরে বেরোনোর সময়ই অনুব্রতকে গরুচোর বলে বিদ্রুপ করেন এক রোগীর আত্মীয়। তবে কী কারণে গরুচোর বলেছেন ওই ব্যাক্তি, তাঁকে জিজ্ঞেস করেন সাংবাদিকরা। তবে রাজ্যের শাসকদলের এই হেভিওয়েটকে এহেন পরিহাস করার পর সংবাদ মাধ্যমে মুখ আড়াল করেননি, উল্টে তাঁর ব্যাক্ষা দিলেন তিনি। 


এদিন নির্ভয়ে ওই বিদ্রুপকারী বলেন, 'সবাই চোর বলছে, আমিও বলেছি। গ্রামে যেভাবে গরুচোর ধরলে পঞ্চায়েতের প্রধানরা বা গ্রামের প্রধানরা সাজা দেয়, যেভাবে গরুচোরকে ধরা হলে লাঠি দিয়ে মারা হয়, সেভাবেই ওকে সাজা দেওয়া উচিত।' এমনই দাবি করেন ওই বিদ্রুপকারী ব্যাক্তি। এদিকে গত কয়েকদিন আগেই রাজ্যের শাসকদলের এক প্রাক্তনমন্ত্রীর সঙ্গেও এহেন পরিস্থিতি তৈরি হয়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতারের পর জোকা ইএসআই-এ মেডিক্যাল টেস্ট করার জন্য রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে আনার সময়, তাঁর উপর একজন জুতো ছুড়ে মারে। এদিকে এদিন অনুব্রত মণ্ডলের উপর জুটল 'গরুচোর' তকমা।


মূলত রাজ্যের শাসকদলের এই হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মন্ডলের উপরে ঝুলছে গরুপাচার মামলার তদন্ত। নাম জড়ানোর পর এখন অবধি অসংখ্য বার তিনি ইডি-সিবিআই-র হাজিরা এড়িয়েছেন। কখনও বীরভূমের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসানসোল হয়ে কলকাতা আসার পথে নিজাম প্যালেসের গা ঘেষে বেরিয়ে যান তিনি। এর আগে সিবিআই তলবের পর বুকে হাত দিয়ে তাঁকে বেরোতে দেখা গিয়েছে। তারপর সোজা গিয়ে ভর্তি হয়েছেন  এসএসকেএম-এ।  মূলত এসএসসি দুর্নীতি মামলায় তলব এড়িয়ে কিছুতেই যাতে এসএসকেম-এ না যেতে পারেন, তার জন্য পার্থ ইস্যুতে আগেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সিবিআই। তারপরেই এসএসকেএম-র উডবার্ণ-এ এখন আর চাইলেই ভর্তি হওয়া যাবে না, স্পষ্ট বলে জানায় হাইকোর্ট। আর এবার তাই চেয়েও আর এসএসকেএম-এ ভর্তি হওয়া গেল না অনুব্রত-র। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল। যদিও অসুস্থতার জন্য হাজিরা দিতে পারবো না বলেই জানিয়েছেন অনুব্রত।


আরও পড়ুন, কবে মিলবে চাকরি ? আন্দোলনকারীদের প্রশ্নে বড় বার্তা ব্রাত্য বসু-র


এদিন এসএসকেএম ভর্তি না নেওয়ায় প্রথমে চিনার পার্কের বাড়িতে যান। তবে শেষ অবধি পাওয়া খবরে, এই মুহূর্তে তিনি আবার চিনার পার্কের বাড়ি থেকেও বেরিয়ে পড়েছেন। কিন্তু কোথায় যাচ্ছেন ? বীরভূম ? প্রথমে তাঁর গতিপথে ধোঁয়াশা থাকলেও জানা গিয়েছে বাড়ির পথে যাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে এই মুহূর্তে রাজ্যের শাসকদলের ক্ষমতায় কেউ প্রাক্তন এবং কেউ বর্তমান,  যেভাবে একের পর এক সাধারণ মানুষের ক্ষোভের এবং বিদ্রুপের শিকার হচ্ছেন , তাতে ক্রমশই উত্তাল হচ্ছে রাজ্য-রাজনীতি।