সত্যজিৎ বৈদ্য ও রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : নিউটাউনের (Newtown) শাপুরজির মোড়ে অস্থায়ী বাজারে ভয়াবহ আগুন (Fire)। ভস্মীভূত ৮টি দোকান। গতকাল রাত ৩টে নাগাদ শাপুরজির (Sapoorji) মোড়ে অস্থায়ী বাজারে আগুন লাগে। একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে (Gas Cylinder Blast) আতঙ্ক ছড়ায়। দমকলের (Fire Tenders) ৩টি ইঞ্জিনের সাহায্যে ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।


বিকট আওয়াজে একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ


গভীর রাতের নিস্তব্ধতা চিরে একের পর এক বিস্ফোরণে শব্দ। বিকট আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় নিউটাউনের শাপুরজি মার্কেট সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের। ঘুম জড়ানো চোখে দেখেন দাউদাউ করে জ্বলছে এলাকার বাজারের একাংশ। আকাশ ছুঁয়েছে আগুনের লেলিহান শিখা। ঘন ধোঁয়া আর পোড়া গন্ধে ভারী হয়ে গেছে বাতাস। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ৩ টে। 


হাইটেনশন তার থেকে আগুন !


আচমকা আগুন লাগে নিউটাউনের শাপুরজির মোড়ের একটি অস্থায়ী দোকানে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের গ্রাসে চলে যায় বাজারের একাংশ। আগুনকে বাগে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় দমকলকর্মীদের। বাজারের ওপর দিয়েই গেছে হাইটেনশন তার। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান, সেই তার ছিঁড়েই কোনওভাবে আগুন লাগে। দমকল আসার আগেই আগুনের গ্রাসে চলে যায় বাজারের একাংশ। নিউটাউনের এক বাসিন্দা বলেছেন, বিস্ফোরণের আওয়াজ পাই। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগাই। বাজারের আশেপাশে থাকা লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে আসি।


আরও পড়ুন- স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতি, চাকরি-হারা ১৯১১ জনের মধ্যে একের পর এক তৃণমূল নেতা !


ধ্বংসস্তূপের মাঝে কান্না


দোকানের মধ্যে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যাওয়ায় বিধ্বংসী রূপ নেয় আগুন। পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৮টি দোকান। ভোররাতে দোকান খুলতে এসে তাজ্জব হয়ে যান ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলির মালিক ও কর্মীরা। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে। দমকলের ৩টি ইঞ্জিনের সাহায্যে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পকেট ফায়ার নেভাতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগে। বছর তিনেক আগে আরও একবার নিউটাউনের শাপুরজির মোড়ের এই অস্থায়ী বাজারে আগুন লাগে। 


সেই একই জায়গায় ফের আগুন লাগায় অন্তর্ঘাতের আশঙ্কাও করছেন অনেকেই। দমকলসূত্রে খবর, বাজারটির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


কয়েকদিন- আগেই বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় দুর্গাপুরের (Durgapur)বেনাচিতি বাজার সংলগ্ন এলাকার ঝুপড়ির একাংশ।  দমকলের (Fire Brigade) ৫টি ইঞ্জিনের ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ২০টি ঘর ভস্মীভূত হয়ে গেলেও হতাহতের কোনও খবর নেই। কী কারণে আগুন জানতে তদন্ত শুরু করেছে দমকল। ক্ষতি গ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।