মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: সাইবার প্রতারণার (Cyber Crime) অভিযোগে ছত্রিশগড় সাইবার পুলিশের হাতে দুর্গাপুরের (Durgapur) বিধাননগরের অরবিন্দ পথ এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেফতার (Arrest) চার যুবক। 


শনিবার সন্ধ্যায় ছত্রিশগড় সাইবার সেলের পুলিশ দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশের সহযোগিতায় ওই ভাড়া বাড়ি থেকে ঝাড়খণ্ডের চার যুবককে গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর, ছত্রিশগড়ের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা সাইবার প্রতারণা করেছিল এই চার যুবক। ছত্রিশগড় সাইবার সেলে সেই অভিযোগ জমা পড়তেই তদন্তে নামে সাইবার সেল। তদন্তের ভিত্তিতে এই চার যুবকের নাম উঠে আসে। তারপরেই শনিবার সন্ধ্যায় ওই ভাড়া বাড়িতে পৌঁছে যায় নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ছত্রিশগড় সাইবার সেল। বাজেয়াপ্ত হয় বেশ কিছু মোবাইল এবং সিম কার্ডও। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, এই চার যুবক ওই ভাড়া বাড়ি থেকেই অপরাধমূলক কাজ করত। রবিবার ট্রানজিট রিমান্ডে অভিযুক্তদের ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।


গতবছরের শেষের দিকে সাইবার প্রতারণার একটি ঘটনা ঘটে হাওড়া শহরে। অবসরপ্রাপ্ত এক রেলকর্মীর দুটি অ্য়াকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে ব্যাঁটরা থানার অন্তর্গত কদমতলা সারদা চট্টোপাধ্যায় লেনে। জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার রামগোপাল সরকারের স্ত্রী পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী।  স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কর্মী পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি মিনতি সরকারকে ফোন করে বলেন, তার স্টেট ব্যাংকের এটিএম কার্ডটি চলতি মাসেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাবে। তাই নতুন এটিএম কার্ড পেতে গেলে তাদের বেশ কিছু তথ্য জানাতে হবে । তাঁকে একই সঙ্গে জানানো হয়, তাঁর আরেকটি একাউন্টের এটিএম কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। সেটিরও একইসঙ্গে নতুন করে কার্ড দেওয়া হবে।


আরও পড়ুন, চিকেন পক্সে রাজ্যে পরপর মৃত্যু, ফেব্রুয়ারিতে না ফেরার দেশে কজন ?


এরপর মিনতি দেবী তার নিজের এটিএম কার্ডের তথ্য ওই ব্যক্তিকে দিলে তার ফোনে একটি ওটিপি আসে। তারপরেই এক এক করে এসএমএস আসতে থাকে। তার একাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার। মুহূর্তের মধ্যে তার সেভিংস এবং পেনশন দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। সঙ্গে সঙ্গে তারা ছুটে যান স্থানীয় এসবিআই শাখায়। দুটি অ্যাকাউন্ট সাময়িক বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ জানান, স্থানীয় ব্যাঁটরা থানায় ও হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে। এখন অবসর জীবনে এত বড় ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা  ওই পরিবার।