কলকাতা : বাংলার পঞ্চায়েতে (Panchayat in Bengal) কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে তাঁর কাছে কোনও অভিযোগ নেই। কলকাতায় এসে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী কপিল মরেশ্বর পাতিল (Kapil Moreshwar Patil )। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাই হোক বা ১০০ দিনের কাজ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল, দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারকে বারবার আক্রমণের পথে হেঁটেছে বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে মোদি সরকারের মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।


এদিকে SSC দুর্নীতি মামলায় CBI জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে তরজার মধ্যেই এবার মোদি সরকারের মন্ত্রীর মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হল নতুন বিতর্ক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবিকে উড়িয়ে দিলেন খোদ বিজেপিরই রাজ্য সভাপতি। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ বিজেপিরই সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। আর বিজেপিকে অস্বস্তিতে দেখে বেজায় উৎসাহিত তৃণমূল।


কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ?


কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল। ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি। মোদি সরকারের পাঠানো পঞ্চায়েতের উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে সম্প্রতি বারবার তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে চলেছে বিজেপি। অথচ বুধবার রাজ্যে এসে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন মোদি মন্ত্রিসভারই সদস্য, বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী কপিল মরেশ্বর পাতিল। তাঁর বক্তব্য, বাংলায় পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ নেই। কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী কপিল মরেশ্বর পাতিলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনার কাছে এ রাজ্যের পঞ্চায়েত প্রকল্প নিয়ে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ আছে ? উত্তরে মন্ত্রী বলেন, এখনও আমার কাছে সেরকম কিছু আসেনি। আপনাদের যদি সেরকম কিছু জানা থাকে, আমাকে জানালে আমি তদন্ত করে দেখতে পারি।


আরও পড়ুন ; ফের জ্বালানি তরজা, ‘বাংলার সরকার পেট্রোল-ডিজেলে সেস কমায়নি’ আক্রমণ কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রীর


খোদ কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রীর এই মন্তব্যে স্বভাবতই অস্বস্তি পড়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এই প্রেক্ষাপটে মোদি সরকারের মন্ত্রীর দাবিকেই কার্যত খারিজ করে দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি।


বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ক্যাবিনেট মিনিস্টারের কাছে আছে। উনি জানেন না, সে জন্য হতে পারে। MOS তো, উনি সেটা জানতে পারেন না।


এনিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, কেন্দ্রের অফিসাররা এসেছেন, তাঁরা হোটেলে থেকেছেন। বিডিও’র দেওয়া পার্টিতে মৌজ-মস্তি করেছেন। দিয়ে সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছেন। তার ওপরই সব সার্টিফিকেট আসছে।