কলকাতা: মেয়ো রোডে এসএসসির চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান-বিক্ষোভ অব্যাহত। প্রায় ১৫৪ দিন ধরেই চলছে এই অবস্থান বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২০১৬ সালে পরীক্ষার পরে ২৫০০ জন চাকরিপ্রার্থীর চাকরি এখনও পায়নি। কিন্তু এই নিয়ে কোনও সুরাহাও মেলেনি গত ৫ বছরে। এদিন চাকরিপ্রার্থীদের এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
https://www.facebook.com/watch/live/?ref=watch_permalink&v=642903073486325
এদিকে, ‘দেখে মনে হচ্ছে হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এখনও সময় আছে, ব্যবস্থা নিন।’ নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানে স্থগিতাদেশ দিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি হরিশ টন্ডন। আজ, শুক্রবার এই মামলায় দু’দিনের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। শিক্ষা দফতর নিযুক্ত এসএসসি-র ৫ সদস্যের কমিটি ও সার্বিক দুর্নীতি অনুসন্ধানে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, ‘কেন এসএসসি নিজে এফআইআর করেনি? এর পরেই ফের নেওয়া হয়েছে এসএসসি-র প্রোগ্রামিং অফিসারের গোপন জবানবন্দি। অভিযোগ, তালিকায় পিছিয়ে থাকলেও চাকরি দেওয়া হয় মুর্শিদাবাদের ৬ শিক্ষককে। আজ দুপুর ২টোয় পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। শুনানিতে হাজির থাকার কথা এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টার।
এর আগে স্কুলে বেআইনি শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এসএসসির উপদেষ্টা, প্রাক্তন চেয়ারম্যান-সহ ৩ জনকে এজলাসে তলব করে হাইকোর্ট। তাঁদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মেধাতালিকায় নীচের দিকে নাম থাকা সত্বেও, মুর্শিদাবাদে অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে ৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে এসএসসি। ৬ জনের মধ্যে ৩ জন আদালতে উপস্থিত হয়ে দাবি করেন, সুপারিশ সত্বেও তাঁরা কেউ ওই চাকরিতে যোগ দেননি। আগামী বুধবার ওই ৩ জনকেও প্রামাণ্য নথি আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রয়োজনে অনিয়মের অভিযোগের অনুসন্ধানের ভার ফের সিবিআইকে দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আদালত।