কলকাতা : ফের চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ । ফের বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন রোগীর আত্মীয়রা। ফের একবার হাসপাতাল চত্ত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়ল রোগীর পরিবার। অভিযোগ উঠল, অস্ত্রোপচার না করে রোগী ফেলে রাখা হয়েছিল। নইলে পা ভেঙে রোগীর মৃত্যু হয় নাকি ! প্রশ্ন তুললেন রোগীর আত্মীয়রা।
উত্তপ্ত কলকাতার এমআর বাঙুর হাসপাতাল
সোমবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতার এমআর বাঙুর হাসপাতাল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, ভাঙা পা নিয়ে ১১ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হল রোগী। তারপর থেকে তাঁকে ব্যথা কমানোর ওষুধ দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর বাড়ির আত্মীয়রা। বারবার নাকি জানানো হয় অপারেশন থিয়েটার ফাঁকা নেই বলে। সোমবার ১৮ এপ্রিল সেই রোগীর মৃত্যু হয়। পরিবারকে নাকি পরবর্তীতে জানানো হয়, রোগীর হার্টেও সমস্যা ছিল। কিন্তু কোনও পরীক্ষাতেই হার্টের কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি বলেই দাবি করেছেন মৃত ব্যক্তির কন্যা।
প্রেক্ষাপট
১১ এপ্রিল, যাদবপুর থানার কাছে পথ দুর্ঘটনায় আহত হন পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ওই ব্যক্তি। স্কুটারের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে তাঁর সাইকেলের। সেদিনই এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই ব্যক্তিকে। জানা যায়, হাঁটুর নীচের হাড় ভেঙে গেছে। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর, সোমবার মৃত্যু হল সেই ব্যক্তির। কিন্তু হাঁটুর নীচের হাড় ভেঙে গেলে কারও মৃত্যু হওয়া কি স্বাভাবিক? এই প্রশ্ন তুলে, সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার।
আরও পড়ুন :
ম্যানহোলে বিষাক্ত গ্যাস, ম্যাঙ্গালোরে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ গেল দেগঙ্গার ৫ যুবকের
কীভাবে মৃত্যু?
পথ দুর্ঘটনায় পা ভাঙা রোগীর কীভাবে মৃত্যু? প্রশ্ন তুলেছে। চিকিৎসায় গাফিলতি, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রাখার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। যদিও রোগীর পরিবারের এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। ঠিক কী কী বিষয়ে অভিযোগ তা জানালেন , খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বাবাকে হারিয়ে যন্ত্রণায় ভেঙে পড়েছেন কন্যা। তাঁর দাবি, চার-চারটি সরকারি চাকরির পরীক্ষার লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাশ করেও তিনি চাকরি পাননি। তাই নিয়েও তিনি দোষ দেন রাজ্য সরকারকে।