আবীর দত্ত, কলকাতা : সাংসদ সৌগত রায়ের (Saugata Roy0 বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে চলছিল বাড়ি ভাঙার কাজ। কারা বাড়ি ভাঙবে ? কারা বখরা পাবে ? এই নিয়ে গতকাল রাত থেকেই বেঁধেছে অশান্তি। সেই অশান্তি চরমে পৌঁছায় সোমবার সকালে। বিশাল চ্যাঁচামেচি শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন সাংসদ সৌগত রায়। তিনি তখন ফোন করেন ওসিকে। তারপরই বিশাল পুলিশবাহিনী আসে এলাকায়। সাংসদ সৌগত রায় একথা নিজেই জানান এবিপি আনন্দকে। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনা একেবারেই অভিপ্রেত নয়।
কেন সংঘর্ষ, কী বলছেন সৌগত
সূত্রের খবর, তুমুল সংঘর্ষে (Syndicate Clash) ধারাল অস্ত্রের কোপে আহত হন ৮ জন। সংঘর্ষের অশান্তির আঁচ এখনও রয়েছে এলাকায়। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। সেই হাসপাতালের সামনে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। সাধারণ পোশাকে পুলিসও মোতায়েন রয়েছে। ৪ জনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। বখরা নিয়ে গণ্ডগোলের জের, মন্তব্য সাংসদ সৌগত রায়ের। জানা গিয়েছে, দুই দলের লোকজনই তৃণমূল কংগ্রসের সমর্থক। এই ঘটনার নিন্দা করে সাংসদ সৈগত রায় বলেন, শান্তিপূর্ণ পাড়ায় এটা কেন ঘটবে? বাড়ি ভাঙাই বন্ধ করা হোক।
কেন অশান্তি
প্রশ্ন উঠছে, কাল রাত থেকেই অশান্তি চলছিল। ঢিল ছোড়া দূরত্বে সাংসদের বাড়ি। সেখানে কেন আগে ব্যবস্থা নেওয়া হল না। সূত্রের খবর, আগে থেকেই অস্ত্র মজুত করা হচ্ছিল। কীভাবে আগে থেকে অস্ত্র মজুত হয় ?
মনে করাচ্ছে চড়কতলার ঘটনা
এর আগেও গত সপ্তাহে এই ধরনেরই একটি ঘটনার খবর সামনে এসেছিল বেহালা থেকে। গত মঙ্গলবার ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের চড়কতলায় তৃণমূলের দুই পক্ষের এই সংঘর্ষ বাঁধে। বোমা গুলি চলে বলে অভিযোগ। লাঠি ইট পাথরে দুই পক্ষেরই অনেকে আহত হন।ভাঙচুর হয় সাধারণ মানুষের গাড়ি-বাড়ির কাচ। জানা যায়, দুই সিন্ডিকেটের মধ্যে অশান্তিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর সঙ্গে আরেক গোষ্ঠীর বিরোধ হয়। রাতভর দুষ্কৃতী তাণ্ডবে এলাকাবাসী আতঙ্কে ছিল। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, অবাধে দুষ্কৃতীরা এলাকায় পার্কিং করে রাখা গাড়ির কাচ ভাঙছে।