কলকাতা: হরিদেবপুরের হোমে (Haridevpur Home) ২ নাবালিকাকে দীর্ঘদিন ধরে যৌন নির্যাতনের (Physical Abuse) অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার বেড়ে ৩। হোমের প্রতিষ্ঠাতা, অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়াও এবার গ্রেফতার করা হল হোমের প্রাক্তন রাঁধুনিকেও। উল্লেখ্য, গত মে মাসে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর বরখাস্ত করা হয় প্রাক্তন রাঁধুনিকে। এদিকে এই ঘটনার বিষয়ে যদিও পুলিশকে কোনও কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই হরিদেবপুরের এই হোমে ২ নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠছিল। এরপর চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে অভিযোগ আসে। নাবালিকাদের নিয়ে হরিদেবপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছিল চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি। হোমের তিনজন কর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপরই এবার তিনজনকে গ্রেফতার করা হল। আরও কেউ এর সঙ্গে যুক্ত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, যাদবপুরে (Jadavpur) ছাত্রমৃত্যুকাণ্ডে (Student Death) অবশেষে পকসো আইনে (POCSO ACT) মামলা পুলিশের। ছাত্রমৃত্যুর প্রায় ১ মাসের মাথায় পকসো আইনে মামলা রুজু। তদন্তভার নিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। র্যাগিং কাণ্ডে (Ragging Case) ধৃত ১২ জনের বিরুদ্ধেই পকসো আইনে মামলা পুলিশের। বিবস্ত্র করে যৌন কটাক্ষ করা হয়েছিল নদিয়ার ছাত্রকে, পুলিশ সূত্রে খবর। যাদবপুর থানার হাত থেকে তদন্তভার নিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করবে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা যাদবপুর ছাত্রমৃত্যু কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ছাত্রমৃত্যুর ২৫ দিন পরে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন ইউজিসির প্রতিনিধিদল। প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা ক্যাম্পাসে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধিরা। ৪ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন, অধ্যাপক শশীকলা আঞ্জারি, অধ্যাপক সঞ্জয় শ্রীবাস্তব, অধ্যাপক জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিপিন কৌশল। অরবিন্দ ভবনের দোতলায় সহ উপাচার্যের ঘরে একাধিক আধিকারিককে একে একে তলব করেন ইউজিসির প্রতিনিধিরা। ডাকা হয় রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু, এবং মৃত ছাত্র যে বিভাগের পড়ুয়া ছিলেন তার প্রধান ও অধ্যাপকদের।
এরপর UGC-র প্রতিনিধিরা জানতে চান,
- ইউজিসির গাইডলাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কতখানি মানা হয়েছে?
- মৃত্যুর আগে ওই পড়ুয়ার আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল কি না?
- ওরিয়েন্টেশনের দিন কী হয়েছিল?
- অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি কী কাজ করেছে?