ময়ুখঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: পুজোর (Durga Puja) আগে শহরের খারাপ রাস্তা সারাইয়ের জন্য় পূর্ত দফতর (PWD), কলকাতা পুরসভা (KMC), কেএমডিএ, পোর্ট ট্রাস্ট-সহ ৯টি রাজ্য় ও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে চিঠি দিল কলকাতা পুলিশ। শহরের মোট ৩৩০টি রাস্তাকে খারাপ হিসেবে চিহ্নিত করে সারাইয়ের জন্য় চিঠি দিল কলকাতা পুলিশ।
কোথাও রাস্তা ভাঙা। কোথাও রাস্তায় বড় বড় গর্ত। কোথাও আবার খানাখন্দে ভরা। উত্তর থেকে দক্ষিণ। বেহাল কলকাতার বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। দরজায় কড়া নাড়ছে পুজো। এই পরিস্থিতিতে শহরের খারাপ রাস্তা সারাইয়ের জন্য় দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট রাজ্য় ও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে চিঠি দিল কলকাতা পুলিশ।
শহরের মোট ৩৩০টি রাস্তাকে চিহ্নিত করেছে কলকাতা পুলিশ। রাস্তাগুলি সারাইয়ের জন্য় পূর্ত দফতর, কলকাতা পুরসভা, KMDA, পোর্ট ট্রাস্ট সহ ৯টি রাজ্য় ও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে চিঠি দিল কলকাতা পুলিশ। উত্তরে সিঁথি, চিৎপুর, টালা থেকে দক্ষিণে ভবানীপুর, কালীঘাট, রাসবিহারী সহ কলকাতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা রয়েছে কলকাতা পুলিশের চিহ্নিত করা তালিকায়। ফলে পুজোর সময় তীব্র যানজটের আশঙ্কা করছে কলকাতা পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার সদর সন্তোষ পাণ্ডে জানিয়েছেন, পুজোর সময় বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ কলকাতায় আসেন। রাস্তা খারাপ থাকলে অসুবিধা হয়। সেই কারণে প্রত্য়েকটি সংস্থাকে রাস্তাগুলি সারাইয়ের জন্য় বলা হয়েছে।
রাস্তা সারানো নিয়ে রাজনীতি: বর্ষায় বেহাল রাস্তার প্রতিবাদে চলতি সপ্তাহেই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেমেছিলেন বিরোধীরা। কোথাও পিচ উঠে গিয়েছে। কোথাও আবার রাস্তায় তৈরি হওয়া বড় বড় গর্তে বৃষ্টির জল জমে ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তা সারানো নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতিও। রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। রাস্তায় শুয়ে, ধান বা সবজির চারা পুঁতে চলল প্রতিবাদ।
রাস্তায় হাল চাষ, খন্দপথে দুর্ঘটনা-শঙ্কা। পথে শুয়ে প্রতিবাদ। বর্ষায় জেলায় জেলায় সেই একই জলছবি। রাস্তা সারানোর দাবিতে অভিনব প্রতিবাদে সামিল হলেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা, কর্মীরা। পশ্চিম বর্ধমান আসানসোল পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ড। বার্নপুরের রহমত নগরের এই রাস্তা বেহাল। শনিবার লাঙল-গরু নিয়ে পথে নামেন কংগ্রেস কর্মীরা। রাস্তায় পোঁতা হয় সবজির চারা।
একই ছবি পাশের জেলা পূর্ব বর্ধমানেও। বর্ধমান-আরামবাগ রোডের এমনই কঙ্কালসার চেহারা। পিচ উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। হেলে-দুলে চলছে বাস, অটো-টোটো থেকে শুরু করে ভারী যান। দামোদরের ওপর কৃষক সেতু ও লাগোয়া ইডেন ক্যানাল সেতুর রাস্তাও বেহাল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি ও মন্দিরবাজার বিধানসভার ঢোলাহাট থেকে বামুনের চক, ১০ কিলোমিটার রাস্তা যেন মরণফাঁদ। গর্তে বৃষ্টির জল জমে থাকায়, যখন-তখন উল্টে যায় গাড়ি। শনিবার রাস্তায় সটান শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান SUC কর্মীরা।
জল-জমা রাস্তায় পোঁতা হয় ধানের চারা। পুলিশের আশ্বাসে এ দিন একঘণ্টা পর SUC-র অবরোধ ওঠে। শুক্রবার মালদার চাঁচলে বেহাল ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কে যাত্রী-সহ উল্টে যায় একটি টোটো। আহত হন টোটো চালক-সহ ৫ জন যাত্রী। বেহাল রাস্তার ছবি অন্য জেলাতেও।