কলকাতা : এটিএমন (ATM ) প্রতারণা, অনলাইনে কেনাকাটায় প্রতারণা, ব্যাঙ্ক প্রতারণা । প্রযুক্তি একদিকে যেমন জটিল পদ্ধতিকে সহজ করে দিচ্ছে, তেমনই অনেক মানুষের কম-জানার ফাঁক দিয়ে এই প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করেই সর্বস্ব লুঠ করছে প্রতারকরা। আর এই ধরনের প্রতারণার অভিযোগে উপচে পড়ছে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সাইবার ক্রাইমের (Cyber Crime) দফতর। তাই সচেতনতার জন্য এবার একটি মিম পোস্ট করল কলকাতা পুলিশ। 



কয়েক দিন আগে প্রতারণার শিকার হন রবীন্দ্র ভারতীর তিন অধ্যাপিকা। তাঁদের মধ্যে একজন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। কীভাবে প্রতারণা?  পুলিশ সূত্রে খবর, KYC আপডেটের নামে ব্যাঙ্ককর্মী পরিচয় দিয়ে প্রতারকরা একটি লিঙ্ক পাঠায়। অভিযোগ, ওই লিঙ্কে ক্লিক করা মাত্রই অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় সব টাকা। তদন্তে নেমে লালবাজারে সাইবার ক্রাইম বিভাগের গোয়েন্দারা অভিযান চালায় ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ায়।  পুলিশ সূত্রে দাবি, সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় কুখ্যাত জামতাড়া গ্যাংয়ের ২ সদস্যকে। 


এই ঘটনার পরই কলকাতা পুলিশের এই পোস্ট। মিমে দেখা যাচ্ছে, এক দুষ্কৃতী কেওয়াইসি আপডেটের নাম করে এক ব্যক্তির কাছে তাঁর ব্যাঙ্কের ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চায়। ফোনের ওই পারে স্বয়ং রঞ্জিত মল্লিক। তিনি তখন বলেন, ওরে ধাপ্পাবাজ এবার হবে তোপ পর্দাফাঁস। কলকাতা পুলিশের এই মিম খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। মিমের মারফত হেল্পলাইন নম্বটিও জানিয়েছে তারা 8585063104
এই সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় পড়লে ফোন করতে পারেন এই নম্বরে। 



সাইবার প্রতারকদের নতুন অস্ত্র এখন KYC আপডেট। এই অজুহাতেই অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য জেনে, টাকা লোপাট করে দিচ্ছে প্রতারকরা। সম্প্রতি এই ফাঁদে পা দিয়ে, কিছুদিন আগে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা হারান হলদিয়ার এক স্কুলশিক্ষক।  প্রতারণার প্যাঁচ পয়জার সম্পর্কে সাধারণ কারোর পক্ষে তো এতটা স্পষ্ট ধারণা থাকা সম্ভব নয়। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই এখন অল্পবয়সী থেকে বয়স্ক--- সকলকে সর্বস্বান্ত করছে প্রতারকরা।