সতজিত্‍ বৈদ্য, কলকাতা: প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় গতকাল ভর সন্ধেয় টিএমসিপি-র (TMCP) এক নেতাকে হেলমেট দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। তৃণমূল ভবন (TMC) থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই ঘটনা ঘটায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কারা, কেন হামলা চালিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রগতি ময়দান থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ (Kolkata News)।   


তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতাকে হেলমেট দিয়ে বেধড়ক মারধর


তৃণমূল ভবন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে টিএমসিপি নেতার ওপর হামলার অভিযোগ।  অভিযোগ দায়ের হল প্রগতি ময়দান থানায়। শুক্রবার ভর সন্ধেয় এই ঘটনা ঘটে। যার কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তৃণমূল ভবনের কাছে কারা এই হামলা চালাল? তার কারণ কী?   


অভিযোগকারী শ্রেয়ান সাহা হাওড়ার মহেশ ভট্টাচার্য হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি। শুক্রবার বিকেলে তিনি সাংগঠনিক কাজে তৃণমূল ভবনে যান। ফেরার সময় সন্ধে ৬টা নাগাদ তিনি ই এম বাইপাসে ওঠার আগে চা খাচ্ছিলেন। 


আরও পড়ুন: Hooghly Weather Update: সম্ভাবনা নেই বৃষ্টির, কমবে বাতাসের গুণমান, আজ হুগলির আবহাওয়া কেমন থাকবে?


ওই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার অভিযোগ, সেই সময় আচমকাই কয়েকজন যুবক তাঁকে ঘিরে ধরে হেলমেট দিয়ে বেধড়ক মারতে শুরু করে। তাঁর সঙ্গীদেরও মারধর করা হয় বলে ওই ছাত্রনেতার অভিযোগ। তাঁর কথায়, "বোধহয় আমাদের কেউ!  কীভাবে, হামলা হল সেই বর্ণনা দিয়েছেন।"


তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কি মারধর, উঠছে প্রশ্ন


প্রশ্ন হল, কারা তৃণমূল ভবনের সামনে ওই ছাত্রনেতার ওপর হামলা চালাল? টিএমসিপি’র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কি এই ঘটনা? নাকি, ঘটনার পিছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে? টিএমসিপি নেতা সৌমিক সেন বলেন, "কী ঘটেছে দেখা হচ্ছে। একজনকে চিহ্নিত করা গেছে। অন্য এক হোমিওপ্যাথি কলেজের পড়ুয়া।" প্রগতি ময়দান থানায় এ নিয়ে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। 


এ দিকে, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মুখেও এ বার শোনা গেল ডিসেম্বর ডেডলাইন’। কার্যত হুঁশিয়ারির সুলে তাঁকে বলতে শোনা গেল, "মানিক ভট্টাচার্য মুখ খুলতে শুরু করলে অনেক উইকেট পড়বে। ডিসেম্বরে ঠান্ডা পড়বে, সরকার কাঁপবে।" পুজোর আগেও একই মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল সুকান্তকে। মিঠুন চক্রবর্তীকে পাশে বসিয়ে সেই সময় বলেছিলেন, "ডিসেম্বরেই সরকার পড়তে পারে।"