কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) মধ্যে কোমর বেঁধে আসরে নেমেও, D.EL.ED পরীক্ষা নির্বিঘ্নে করতে পারল না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Teachers Council)। গতকাল প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্রের কিছু অংশের প্রতিলিপি সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে আসে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে পর্ষদ তদন্ত কমিটি তৈরি করেছে।


এবার প্রশ্নফাঁস ?


নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি ! এরইমধ্যে এবার D.EL.ED’র প্রশ্ন ফাঁসের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল ! তদন্ত কমিটি গঠনের আশ্বাস দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিকে শিক্ষকতার জন্য D.EL.ED থাকা বাধ্যতামূলক। সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা। আর সেখানেই, বজ্র আঁটুনির মধ্যেই, প্রথম দিনেই ফস্কা গেরোর অভিযোগ উঠল।


এদিন ১৬০টি পরীক্ষাকেন্দ্রে দুপুর ১২টায় একই সঙ্গে শুরু হয় পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার। অভিযোগ, পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্রের কিছু অংশের প্রতিলিপি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগেই, সকাল পৌঁনে এগারোটা থেকেই প্রশ্নপত্রের প্রতিলিপির অংশ হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরতে শুরু করে।


প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে দাবি, পরীক্ষা শেষের পর দেখা যায়, প্রশ্নপত্রের যে অংশ ভাইরাল হয়েছে, তার সঙ্গে আসল প্রশ্নের হুবহু মিল রয়েছে। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। নানা মহলে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি D.EL.ED’র চূড়ান্ত বর্ষের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে ?


প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, সবাই প্রশ্ন জেনে পরীক্ষা দিয়েছে এই যুক্তি ঠিক নয়। আমরা তদন্ত কমিটি গড়ছি। এটা ফাঁস নয়, ষড়যন্ত্র। পরীক্ষার সঙ্গে যুক্তরাই এই অনৈতিক কাজ করেছে সরকার ও বোর্ডকে ম্যালাইন করার জন্য।


নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা অভিযোগে জর্জরিত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, আর তারইমধ্যে এবার D.EL.ED’এর প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ! আরও একবার প্রশ্নের মুখে পর্ষদের ভূমিকা! প্রসঙ্গত, D.EL.ED কলেজে অফলাইনে ভর্তির জন্য পড়ুয়া পিছু ৫ হাজার টাকা করে, মোট ২১ কোটি টাকা মানিক ভট্টাচার্যকে দেওয়া হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল! এই আবহেই এবার শিরোনামে ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষের ডিএলএড কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা! এদিকে ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট। রাজ্যজুড়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ডিএলএড’এর ৪৬ হাজারেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ৭ লক্ষে কী হবে?