কলকাতা: গত দু’বছরে করোনার কারণে দোল ও হোলি উৎসব ছিল ফিকে। তবে এবছরের পরিস্থিতি বেশ কিছুটা আলাদা। তাই এবারে অনেকেই রং খেলতে উৎসাহী। বড়বাজারের ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, আবির বা রঙের চাহিদা অনুযায়ী জোগান এই বার কিছুটা কম। কারণ, প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি গত দু’বছরে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন, তাই কোভিড পরিস্থিতির অনিশ্চয়তার জন্য উৎপাদনও করেছেন তুলনায় অনেকটাই কম।
আবির আর রঙের চাহিদার জোগান দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা। করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবে আবির প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি এ বার উৎপাদন করেছে প্রতি বছরের তুলনায় কম। কিন্তু চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই। আবির এবং রঙের চাহিদা যে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে মানছেন সকলেই। ব্যবসায়ীদের কথায়, ভিন্ রাজ্য থেকে অনেক শ্রমিক দোলের আগে আবির প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিতে কাজে আসেন। কিন্তু এ বছর তাঁরা অনেকেই আসেননি ফলে উৎপাদন ঘাটতি রয়েছে।
প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ভেষজ আবিরের দিকেই ঝুঁকেছে মানুষ। সবুজ, লাল, হলুদ, গেরুয়া রঙে ছেয়ে আছে রঙের বাজার।পাইকারি বাজারে বিকিকিনি ভালই চলছে। খুশি বিক্রেতারা। যদিও লোকসানের ভয়ে মজুত কম করেছেন তারা। তবে তাদের আশা এবারে ব্যবসা ভালই হবে।
এদিকে, হোলিকা দহনের জন্য ১৭ মার্চ রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে (Covid Restriction) ছাড়। তবে পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্তই করোনার বিধিনিষেধ বহাল থাকছে। তবে আগামী ১৭ মার্চ রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বিধিনিষেধে ছাড় থাকছে। মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে। যাত্রার ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়, নিয়ন্ত্রিতভাবে রাত ৯টা পর্যন্ত যাত্রার ক্ষেত্রে ছাড় মিলবে। এ ক্ষেত্রে আউটডোর স্থানে ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশ বা ইনডোরের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০ জন বা ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশ।