কলকাতা : হাওড়া, হরিদেবপুরের পর এবার বাঁকুড়া। রাজ্যে একের পর এক বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু তাঁর পরেও এখনও অনেক জায়গায় ফেরেনি হুঁশ! কলকাতার একাধিক জায়গায় খোলা বিদ্যুতের তার। যা থেকে যে কোনও মুহূর্তে বড় বিপদ ঘটতে পারে। হরিদেবপুরের ঘটনার পর দেখা গিয়েছিল রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ থেকে ই এম বাইপাস, খোলা তারের বিপদ সর্বত্র। শনিবারও এবিপি আনন্দ-র ক্যামেরায় ধরা পড়ল বিপদ-ছবি। সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গায় ধরা পড়ল খোলা তারের ছবি।


বাতিস্তম্ভের নিচে খোলা বিদ্যুতের বক্স
DD ব্লকে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে বাতিস্তম্ভের নিচে খোলা অবস্থায় পড়ে বিদ্যুতের বক্স। DD ব্লকের আরেকটি জায়গায় দেখা গেল বাতিস্তম্ভের নিচে খোলা তার। GA ব্লকে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাচলে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের লাগোয়া বিদ্যুতের বক্স ঢাকনা খোলা অবস্থায় পড়ে। যেখান দিয়ে পড়ুয়াদের নিত্য যাতায়াত। বক্সের মধ্যে আগাছার জঙ্গল। ফলে চোখেও পড়ছে না তেমনভাবে। অসতর্কতায় ভুল হওয়া অস্বাভাবিক নয় ! পুরসভা ও বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। পুরসভা ও বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। কোনও বাতিস্তম্ভে খোলা তার রাখা যাবে না। কলকাতার মেয়রের এই নির্দেশের পরও দেখা যাচ্ছে এই ছবি! অর্থাৎ মৃত্যু ফেরাতে পারেনি হুঁশ। 


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেছে বহু মানুষের
ধর্মতলা থেকে দমদম, হাওড়া থেকে উত্তর ২৪ পরগনা। বর্ষার জমা জলে, পড়ে থাকা খোলা তারে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেছে বহু মানুষের। হালফিলে হরিদেবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল বারো বছরের এক বালকের। এরকম আরও কত মৃত্যুর পর হুঁশ ফিরবে প্রশাসনের? কবে নেওয়া হবে ব্যবস্থা? সেই প্রশ্নই জোরাল হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। 


শনিবারও বাঁকুড়ায় দুই জনের প্রাণ যায় এই একইভাবে।  প্রবল বৃষ্টিতে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলা-সহ ২ জনের। শনিবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের ভূতশহর গ্রামে। এভাবে আর কত প্রাণ গেলে হুঁশ ফিরবে প্রশাসনের? সেই প্রশ্নই তুলছে স্বজনহারা পরিবার।