পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: দোষ কবুল করেছিল আগেই। ৪ বছরের বেশি সময় আগে ধৃত ৪ জেএমবি (JMB) জঙ্গির সাজা ঘোষণা করল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। চারজনকেই কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।


দোষ কবুল ৪ জেএমবি জঙ্গির। সাজা ঘোষণা করল আদালত। মঙ্গলবারই তাদের দোষী সাব্যস্ত করেছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে ৪ বছরেরও বেশি আগে ধৃত সেই ৪ জেএমবি জঙ্গির কারাদণ্ড হল বুধবার। সরকারি আইনজীবী বলেন, ''দু’জনের ৬ বছরের জেল। ২ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও তিনমাস জেল।''


২০১৩ সালের জুলাইয়ে বিহারের বুদ্ধগয়ায় ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট মহাবোধি মন্দির চত্বরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসের চক্রী হিসেবে জামাত উল মুজাহিদিন বা জেএমবির নাম উঠে আসে। তার দেড় বছরের মাথায় ২০১৪ সালের অক্টোবরে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণেও জেএমবি-র নাম জড়ায়। 



২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে কলকাতা, জেলা সহ দেশের নানা প্রান্তে অভিযান চালিয়ে ২১জন সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সর হাতে ধৃত ২১ জনের মধ্যে এই ৪ জনও ছিল। 


পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, এদের অনেকেই বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরমাণ বিস্ফোরক ও ডিটোনেটর পুলিশের তরফে জানানো হয়, বাংলা সহ দেশের নানা প্রান্তে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তাদের। 


সূত্রের খবর, ৪ জেএমবি জঙ্গি নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে। তারপরই তাদের সাজা ঘোষণা করে আদালত। ইতিমধ্যেই এই চারজন কয়েক বছর জেল খেটেছে। সেই সময়টা তাদের নতুন সাজার সময় থেকে বাদ যাবে। 


হাওড়ায় জেএমবি জঙ্গি ধরা পড়েছিল


কদিন আগে ভোপালে ধৃত ৪ জন জেএমবি জঙ্গিকে নিজ এলাকায় আশ্রয় দিয়েছিল হাওড়া থেকে ধৃত জেএমবি লিঙ্কম্যান আনিরুদ্দিন। বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার আগে তাদের এরাজ্যেই আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে আনিরুদ্দিন। কয়েক মাস আগে মধ্যপ্রদেশ থেকে থেকে আরও একবার এরাজ্যে আসে ভোপালে ধৃত তিন জেএমবি জঙ্গি। তাঁদেরকে নিজ এলাকায় আশ্রয় দিয়েছিল আনিরুদ্দিন। এই বিষয়ে মধ্যপ্রদেশ এসটিএফের সঙ্গে কথা বলে ঐ তিনজনকে জেরা করতে চলেছেন রাজ্য এসটিএফের গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি আসামে জেএমবি সংগঠন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আনিরুদদিনের। মূলত ওপার বাংলা থেকে আসা জেএমবি জঙ্গিদের হাওড়া সহ বেশ কয়েকটি জেলায় আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিত সে।